ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান খোন্দকার পাঞ্জু শাহের স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান
সাজ্জাদ আহমেদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর হরিশপুর পাঞ্জু শাহের মাজার প্রাঙ্গনে খোন্দকার রফি উদ্দীনের ৩৯তম ওফাত দিবসে খোন্দকার পাঞ্জু শাহ ও খোন্দকার রফি উদ্দীনের দুই দিন ব্যাপী স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
রাতে পাঞ্জু শাহের মাজার প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাঞ্জু শাহের উত্তরসুরী তানভীর রহমান ঢালীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ।প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড.মো:শহীদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.গৌতম কুমার দাস, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মহা:রেজাউল করিম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো:রশিদুজ্জামান,হায়কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক, খোন্দকার দবির উদ্দীন।আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আছাদুজ্জামান,জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন, সাংবাদিক সাজ্জাদ আহমেদ,খোরশেদ আলম,জামিরুল বয়াতী,গাজী বাউল,মিনারা পারভীন মিনি,বাউল লিটন প্রমূখ। আমন্ত্রিত অতিথি অতিথিদের উত্তরণী ও ফুলেল শুভেচ্ছা দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা বাউল সমিতির সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা।সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেন রফি উদ্দীনের ওয়ারেশগন খন্দকার দবির উদ্দীনসহ এলাকাবাসী। অসখ্য ভক্তাগন খোন্দকার পাঞ্জু শাহ ও খোন্দকার রফি উদ্দীনের দুই দিন ব্যাপী স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তগন খোন্দকার পাঞ্জু শাহ ও খোন্দকার রফি উদ্দীনের স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।খোন্দকার রফি উদ্দীনের ৩৯তম ওফাত দিবসে জেলা বাউল সমিতি ও এলাকার এবং দেশে বিভিন্ন প্রান্তের হাজারো ভক্তগন মন-জোড়ানো গান গেয়ে অতিথি ও ভক্তদের মাতিয়ে তোলেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন,এই মাটিতেই লালনের জন্ম,এই মাটিতেই নামি দামী শিল্পী ও সাধকদের জন্ম। খোন্দকার পাঞ্জু শাহ, খোন্দকার রফি উদ্দীন, পাগলা কানাইসহ দেশে বড়-বড় সাধকদের গাওয়া গান গেয়ে এদেশের নামি-দামী শিল্পীর জন্ম হচ্ছে।তাই বড়-বড় সাধকদের স্মৃতি চারণ করা সবারই কর্তব্য।