ঝিনাইদহের চোখঃ
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় জমি আছে ঘর নেই এমন ১৮ হাজার ৩৪৬টি হতদরিদ্র পরিবারকে ঘর তৈরি করে দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীন ঘরগুলো তৈরি করা হয়।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, তৃণমূলপর্যায়ে একটি কমিটির মাধ্যমে পরিবারগুলো বাছাই করা হয়। আর একটি ঘর তৈরির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘরগুলো তৈরি টিনের চালা ও টিনের বেড়ার। পোতা পাকা। ঘরের লম্বা সাড়ে ১৬ ফুট ও চওড়া সাড়ে ১৫ ফুট। সাথে বারন্দা ও একটি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট আছে। তবে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় একই টাকার মধ্যে টিনের বেড়ার বদলে ইটের পাকা দেওয়াল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এতে পুনর্বাসিত পবিরারগুলোর কাছে ঘরগুলো আকর্ষণীয় হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলায় নির্মিত ৩০৯ ঘরই সেমিপাকা করে তৈরি করা হয়েছে। জেলার অন্য উপজেলাগুলোতেও নির্মাণ বাকি আছে সেসব ঘর সেমিপাকা করে তৈরি হচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলার বাখরবা গ্রামের ঘর পাওয়া পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ঝুপড়ি ঘরে বাস করতেন। নতুন আধাপাকা ঘর পেয়ে খুশি।
গত রবিবার খুলনা বিভাগের কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বাখরবা গ্রামে নির্মিত ঘরগুলো পুনর্বাসিতদের মাঝে হস্তান্তর করা করেন। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের ঘর নেই এমন প্রতিটি মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানান, আরো ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।