মুসলমানের পাপের চাইতে নেকি বেশি হলে সাজা ভোগ করতে হবে কি?

ঝিনাইদহের চোখঃ
আজকের প্রশ্ন : মুসলমান পাপ করে নেকও করে, নেকি বেশি হলে পাপের সাজা ভোগ করতে হবে কি?
উত্তর : আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা কর- আন্তরিক তওবা। আশা করা যায় তোমাদের পাপসমূহ পালনকর্তা মাফ করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে। যার তলদেশে ঝর্ণা প্রবাহিত হয়। (সূরা আত তাহারীম- ৮)
আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা তওবা করে বিশ্বাস জ্ঞাপন করে এবং সৎ কর্ম করে, আল্লাহ তাদের নামসমূহকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা ফোরকান- ৭০)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা অজ্ঞতার যুগে যে সামান্য পাপ কাজ করেছি সে জন্য কি সাজা ভোগ করতে হবে? রাসূল (সা.) বললেন, যারা ইসলাম গ্রহণের পর সৎ কাজ করবে তারা অজ্ঞতার যুগে যে পাপ কাজ করেছে সে জন্য শাস্তি পাবে না। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পরেও অসৎ কাজে লিপ্ত হলে তারা তাদের অজ্ঞতার যুগেরা অপকর্মের এবং পরবর্তী অন্যায় কাজের শাস্তি পাবে। (সহীহ বুখারী, হা- ৬৪৪১)
রাসূল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন মানুষকে সর্বপ্রথম নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, যদি তার নামাজের হিসাব গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে তার সমগ্র আমল গ্রহণীয় হবে। আর যদি নামাজের হিসাব গ্রহণীয় না হয় তা হলে তার সমগ্র আমলই বাতিল হবে। (সিলসিলায়ে সহীহাহ, হা- ৫৯৮)
আল্লাহ তাআলা বলেন,যার নেকির পাল্লা ভারী হবে সে পাবে সন্তোষজনক জীবন। (সূরা ক্বরিআহ্- ৭-৮)
উল্লেখ্য যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমআর নামাজ এবং রামজানের রোজা পালন করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়, আর কবীরা গুনাহর জন্য তওবা করা শর্ত। আর কোনো দিন এমন গুনাহ করবো না এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে মনে অনুশোচনা নিয়ে বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে তওবা করলে কবীরা গুনাহ সমূহ মাফ হয়ে যাবে।
আর যাদের নেকির পাল্লা ভারী বা নেকি অধিক হবে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে না। যাদের নেকি ও পাপ সমান হবে বা পাপ বেশী হবে তাদেরকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহই ভাল জানেন।