অন্যান্য

শনিবার শিশুরা খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

 

ঝিনাইদহের চোখ:
শনিবার সারাদেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সরকারি দাবি করছে, এবার যে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে সেটি পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত।

এই কর্মসূচি পালনের কথা ছিল গত ১৯ জানুয়ারি। তবে ক্যাপসুলে সমস্যা পাওয়ায় স্থগিত করা হয় তা।
বৃহস্হতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি জানান, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ২৭ হাজার শিশুকে নীল রঙের আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ সাত হাজার শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

গত ১৭ জানুয়ারি দুই দিন আগে এক সিদ্ধান্তে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি স্থগিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরদিন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘একটা ক্যাপসুলের সঙ্গে আরেকটা ক্যাপসুল জোড়া লেগে গেছে। এর মানে এই নয় ভেতরে ওষুধের মান নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টা আমরা নিশ্চিত হব পরীক্ষার মাধ্যমে, মানসম্মত না হলে আমরা বাতিল করে দেব।’

এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করে সরকার। তবে সেই কমিটির প্রতিবেদন আর প্রকাশ হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (তদন্ত কমিটি) একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আমরা তা এখনও দেখিনি। তবে যারাই দোষী সাব্যস্ত হোক তাদের শাস্তি পেতে হবে।’

এখন যে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে তা ত্রুটিমুক্ত দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “কয়েকদিন আগে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে কিছুটা ত্রুটি দেখা দেয়। আমরা শিশুদের জন্য কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। ফলে সেই ক্যাপসুলগুলো আর ব্যবহার করিনি। তবে এবারের ভিটামিন ক্যাপসুলে আর কোনো সমস্যা নেই।”

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুই রঙের যে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়, তার মধ্যে নীল রঙেরটির কোনো সমস্যা ছিল না। এটি দেশি কোম্পানির। সমস্যা ছিল লাল রঙেরটি। এটি ভারতীয় কোম্পানির। এই ক্যাপসুল সরকার কিনতে চায়নি। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে তা নিতে বাধ্য হয়েছে।

ক্যাপসুলের সমস্যা সম্পর্কে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ওই ভিটামিন ক্যাপসুল সাপ্লাইয়ে দেরি হওয়ায় এটা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। মামলা নিষ্পত্তিতে প্রায় দেড় বছর লেগে যায়। তাতে এই ক্যাপসুল ড্যামেজ হয়ে যায়। তবে ক্যাপসুলের ভেতরে থাকা উপাদানের গুণগতমান ঠিক ছিল।’ ‘বাড়তি সতর্কতার জন্য আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি। তাই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন পেছানো হয়েছিল। ‘আমাদের মনে রাখতে হবে শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

একটি শিশুও যেন ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button