টপ লিডহরিনাকুন্ডু

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ৬৩ সেমিপাঁকা বাড়ি উপকারভোগীদের হস্তান্তর

এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে “সবার জন্য আবাসন আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীন জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্পের ৫৯ টি সেমিপাঁকা বাড়ি উপকারভোগীদের মাঝে

৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার হস্তান্তর করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বাড়ি পেয়ে বাড়ির মালিকদের চোখে আনন্দের অশ্রু বেরিয়ে এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উপকারভোগী জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের রোক্সান মন্ডলের পুত্র ইব্রাহীম, মাঠ আন্দুলিয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মন্ডলের পুত্র মনিব আলী, শিতলী গ্রামের শুকুর আলীর পুত্র আবুল হোসেন, কহিদ বিশ্বাসের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন, গোপাল নগর গ্রামের মৃত বাহাদুর মন্ডলের পুত্র আশরাফুল, শওকত আলীর পুত্র মিন্টু, পায়রাডাঙ্গা গ্রামের হুমায়ন কবির এর স্ত্রী আমেনা খাতুন, ভালকী পুকুরপাড়া গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী মাহিরন নেছা, শ্রীপুর গ্রামের সাজো মল্লিকের পুত্র আব্দুল লতিফ, ফলসী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দীনের পুত্র আনোয়ান হোসেন কেতা, জোড়াদহ গ্রামের সামসুল আলমের কন্যা নূর জাহান চোখের পানি ফেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সহ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সামনে বলেন, বাড়ি ছিল না ঘর ছিল না, পোকা মাকড়ের অত্যাচারে রোদে বৃষ্টিতে ভিজে দিনের পর দিন কষ্ট করেছি, খোদাতালা মুখ তুলে তাকিয়েছেন তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাথা গোজার ঠায় পেলাম, আল্লাহ যেন ওনাদের বেহেস্তে নছিব করেন এবং এই সরকার যেন বার বার আসে দরিদ্র মানুষের জন্য।

এ ব্যাপারে নির্বাহী অফিসার জানান এই প্রকল্পে টিনের চাল ও টিনের বেড়া দিয়ে এক কক্ষ বিশিষ্ট্য পায়খানা সহ ঘর নির্মানের নির্দেশনা থাকলেও আমি বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিঞার নির্দেশে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ এর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সকল মালামাল পায়কারী দরে ক্রয় করে একই টাকায় টিনের বেড়ার স্থলে ভালো ইট দ্বারা পাকা দেওয়াল,এ্যাঙ্গেল ও সিড দ্বারা জানালা দরজা নির্মাণ করে উপকার ভোগীদের প্রাণের দাবি পূর্ণ করি।

তিনি আরও জানান প্রথমে আমি পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে মান্দারতলা গ্রামে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৪টি সেমিপাকা বাড়ি নির্মাণ করি এবং ২৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে উপকারভোগীদের হাতে হস্তান্তর করি, সর্বমোট এপর্যন্ত এ প্রকল্পের ৬৩ টি বাড়ি উপকারভোগীদের মাজে হস্তান্তর করা হল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button