ঝিনাইদহে তামাক চাষে ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে দিনে দিনে ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না তামাক চাষ। তার সাথে হচ্ছে স্বাস্থ্যের হানিও। যে জমিতে কিছুদিন আগেও ধান, গম, পাট ও সব্জির আবাদ হতো এখন এ সব জমিতে অতি মুনাফার লোভে তামাক চাষ করছেন কৃষকেরা।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক জি এম আবদুর রউফ জানান. গতবছর জেলায় ৪৭৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল। চলতি বছর কুমে জেলায় ৪২১ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। সুতরাং গতবারের চেয়ে তামাক চাষ অনেকটাই কুমে এসেছে আগামী বছর আরো কুমে আসবে আশা করছি।
তামাক কোম্পানিগুলোর কৌশল ও লোভনীয় অফারে প্রতিবছর ফসলি জমি চলে যাচ্ছে তামাক চাষের আওতায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে খাদ্য নিরাপত্তা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, তামাক চাষে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যবহার করছে কোম্পানীগুলো। নানা কৌশলে চাষীদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে তারা। তামাকের ক্ষতির বিভিন্ন দিক স্বীকার করে তিনি বলেন, চাষীরা জেনেশুনে বিষবৃক্ষ তামাকের চাষ করছে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা তামাক চাষে এলাকার কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে। বীজ,সার থেকে শুররু করে বীজতলা পর্যন্ত তাদের তত্বাবধানে করা হয়।
ঝিনাইদহে তামাক পাতা চাষের সর্ব বৃহৎ ক্রেতা হল বিডিসি। কোম্পানিগুলো পক্ষথেকে কৃষকদের বিষবৃক্ষ তামাক চাষের জন্য বিশেষ সুযোগ দেখানো হয়। তামাক কোম্পানি সরাসরি জমির মালিকের সাথে চুক্তি করে এবং একটি কার্ড দিয়ে থাকে। কোম্পানির কাছ থেকে জমির মালিকরা আগাম অর্থ সহযোগীতাও পায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, এই ভাবে তামাক চাষ হতে থাকলে পুরোদমেই বন্ধ হয়ে যাবে অন্যান্য ফসলী আবাস। অন্যান্য আবাদের চেয়ে তামাক চাষ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে কৃষকসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। তামাকের আবাদে ঝিনাইদহের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘদিন তামাক চাষে যুক্ত থাকলে ক্যান্সার, পেট, বুক ও ঘাড়ে ব্যাথা সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।