
ঝিনাইদহের চোখঃ
গবেষক ও লেখক মাসুদ হাসানের রচনা ও পরিচালনায় শ্রীমঙ্গলে নির্মিত হল মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের উপর যুদ্ধকালিন ডকুমেন্টারি আর্ট ফিল্ম। এ ডকুমেন্টারিতে অভিনয় করেছেন শ্রীমঙ্গলের থিয়েটার কর্মীগণ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধকালিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে চাকরিস্থল থেকে নিজ গ্রামে চলে আসার কাহিনীসহ পরের জানা অজানা নানা ঘটনা এই ফিল্মে দেখানো হবে।
এই ডকুমেন্টারিতে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভূমিকায় অভিনয় করেন বিজয়ী থিয়েটারের অভিনয় শিল্পী মোস্তাকিম আহমেদ। অনান্য চরিত্রে অভিনয় করেন- শ্রীমঙ্গলের থিয়েটার কর্মী এস কে দাস সুমন, সাজন আহমেদ রানা, রিয়ন আহমেদ, নাজিমুল হক শাকিল, ইরপান আহমেদ, জলিল আহমেদ, পংকজ বাড়ই, ওয়াহিদ আহমেদ, মুহিবুর রহমান প্রমুখ।
লেখক ও পরিচারক মাসুদ হাসান বলেন, আরও অনেক আগে এটি নিমার্ণে পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়নে সুযোগ ও সময় কোনোটিই মিলছিল না। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সকল বীরশ্রেষ্ঠদের নিয়ে ডকুমেন্টারি নির্মাণ করব। এই সব ডকুমেন্টারি ফিল্মে স্থানীয় থিয়েটার কর্মীদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশাকরি এই ডকুমেন্টারি ফিল্মটি বাংলাদেশের আর্কাইভে স্থান পাবে।
উল্লেখ্য, হামিদুর রহমান জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারী হামিদনগর (পূর্বতন খোরদা খালিশপুর), মহেশপুর, ঝিনাইদহ (পূর্বতন যশোর) জেলায়। ১৯৭০ সালে হামিদুর যোগ দেন সেনাবাহিনীতে সিপাহী পদে। তাঁর প্রথম ও শেষ ইউনিট ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। সেনাবাহিনীতে ভর্তির পরই প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে। ২৫ মার্চের রাতে চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টসহ আরও কয়েকটি ইউনিটের সমন্বয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবরে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতার জন্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হন হামিদুর রহমান। ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা