রামিম হাসান, ঝিনাইদহের চোখঃ
গরু পালন ও মোটাতাজাকরণে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাতগাছি গ্রাম মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। গ্রামের শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা বিদেশ কিংবা চাকরির আশায় না থেকে সবাই গরু মোটাতাজাকরণে ঝুঁকে পড়েছে।ইতোমধ্যে তারা সুফল পেয়েছেন।তবে নানা সমস্যার কথা জানালেন পশু পালনকারীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে সাতগাছি গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন এক একটি গুরুর খামার।চারশত পরিবারের মধ্যে শতাধিক পরিবারই গরু মোটাতাজা করনে লিপ্ত।নেপালী ও হরিয়ান জাতের বড় বড় গরু শোভা পাচ্ছে কৃষকের বাড়িতে।গ্রামবাসী জানালেন, বছর চারেক আগে গ্রামের কাসেম মোল্লা গরু মোটাতাজাকরন শুরু করেন।তিনি দেড়লাখ টাকার চারটি গরু কিনে মাত্র ছয়মাসের ব্যবধানে চারটি গরু বিক্রি করেন ৪ লাখ টাকায়।এ থেকেই গ্রামের রানা,সাগর,রুহুল,মিলনসহ গ্রামের শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা শুরু করেন গরু মোটাতাজা করণ।
সুফল ভোগি রানা জানান,বছর তিনেক আগে কাসেম মোল্লার পরামর্শে ব্যাংক থেকে ঝণ নিয়ে গরু পালন শুরু করি।মাত্র ৫০ হাজার টাকায় দু’টি গরু কিনে ৬ মাস পরে দেড়লাখ টাকায় গুরু বিক্রি করি।সে থেকেই পশু পালন শুরু।
বর্তমানে তার রয়েছে ৫ টি গরু।একই কথা জানালেন সাগর,রুহুল,মিলন।গরু মোটাতাজা করণে যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অনেক অসুবিধার কথাও জানালেন তারা কৃষক সিরাজুল জানান,গরুর খাবার হিসেবে বিচালী কাঁচাঘাস ও চাউলের কুড়া ব্যবহার করা হয়।বর্তমান সেগুলোর দাম বেশি। তা ছাড়া পশু চিকিৎসকের বড় অভাব। সরকারি চিকিৎসককে আনতে হলে ৫০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়।
এলাকার হাতুড়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হলে অনেক সময় গরুর মৃত্যু হয়। রুহুল জানালেন, সরকারি কোন সহযোগিতা নেই।গরু মোটা তাজা করনের মূল টার্গেট থাকে কোরবানীর ঈদ।
এ সময় সীমান্তের ওপার থেকে গরু আমদানী না হলে স্থানীয় খামারিরা বেশ লাভবান হতে পারে।শুধু হরিয়ান কিংবা নেপালী জাতের গরু নয় দেশীয় প্রজাতির গরুও পালন করে সাতগাছি গ্রামের খামারারিরা ।