অন্যান্য

বার্সেলোনায় নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরলেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী

ঝিনাইদহের চোখঃ

বার্সেলোনায় মোবাইল কংগ্রেসের দ্বিতীয় দিনে আজ (মঙ্গলবার) মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল। এতে ‘মোবাইল ইনফ্রাস্টাকচার : ইজ ইউর পলিসি ফিট ফর পারপাস’ শিরোনামে কি-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফিরা বার্সেলোনার গ্রেন ৪ নম্বর হলের বি অডিটরিয়ামে কি-নোট উপস্থাপন করেন মন্ত্রী। কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, শিল্পকারখানার প্রধান নির্বাহী, টেলিকম রেগুলেটর, ডেটা প্রটেকশন কর্তৃপক্ষ, জিএসএম প্রতিনিধি, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সামনে কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আর এতে পলিসি কীভাবে ভূমিকা রাখছে মূলত এই বিষয়গুলো কি-নোটে তুলে ধরেছেন মন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের যে দৃষ্টিভঙ্গি, কার্যক্রম এবং পলিসির দিক হতে আগামী ২০৪১ সালের বাংলাদেশ সম্বন্ধে তিনি ব্রিফিং দিয়েছেন। ডেল্টা প্ল্যান থেকে শুরু করে যে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রাগুলোও কনফারেন্সে তুলে ধরেছেন তিনি। ডিজিটাল টেকনোলজিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারাগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে সেগুলোও উল্লেখ করেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশের অবকাঠামো, টেলিকমিউনিকেশন খাতের উন্নয়ন, সফটওয়্যার সক্ষমতা ও কানেক্টিভিটিতে কী কী করা হচ্ছে- এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

এছাড়া হোয়াটস নেক্সট? বাংলাদেশ কোন দিকে যাচ্ছে? লক্ষ্যমাত্রা অনুয়ায়ী বাংলাদেশ ২০২১ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে যে ফাইভজিতে রূপান্তরিত হচ্ছে- তার জন্য কী প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বক্তব্য দেন।

মন্ত্রী বর্তমান সরকার প্রযুক্তিকে পলিসি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে এসে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার কানেক্টিভিটির দুয়ার খুলে দিয়েছি।

কংগ্রেসে যোগ দেয়া বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল মনে করেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হওয়াতে প্রথম বিশ্বের অনেক দেশ হয়তো বাংলাদেশের এই উন্নয়নকে খেয়ালে রাখেন না এবং বাংলাদেশকে পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু মন্ত্রীর দেয়া কি-নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ গত ১০ বছরে প্রযুক্তির উন্নয়নের খবর এই মোবাইল কংগ্রেসের মাধ্যমে বিশ্ব জানতে পেরেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button