ধর্ম ও জীবন

কেমন হবে জান্নাত!

ঝিনাইদহের চোখঃ

আল্লাহ তাআলা সত্য জীবন ব্যবস্থাসহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যারা কুরআন অনুযায়ী রাসুলের দেখানো পথে এবং মতে চলবে তাদের জন্য রয়েছে পরকালীন জীবনে জান্নাতের সুখ এবং শান্তি। এ শান্তিময় জীবন-যাপন করতে আল্লাহ তাআলা কিয়ামাতের দিনে জান্নাতিদের খোশখবরী দেবেন তার বর্ণনা কুরআনে এসেছে এভাবে-

‘হে আমার বান্দাগণ আজকের দিনে তোমাদের কোনো ভয় নেই, তোমরা চিন্তিতও হবে না। যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে (আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি)। তোমরা এবং তোমাদের বিবিগণ সানন্দে জান্নাতের প্রবেশ কর। (সুরা যুখরুফ : আয়াত ৬৮-৭০)

আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য যে জান্নাতের খোশখবরী দিলেন আসুন জেনে নিই তার বিবরণ-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু একদিন প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মজলিশে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জান্নাতের বিবরণ দান করুন। তখন তিনি বর্ণনা করেন, জান্নাতের একটি ইট স্বর্ণের, আর একটি রৌপ্যের, কংকর হবে মুক্তার, জাফরানের মাটি, কস্তুরির গারা। যে জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে সর্বদা আনন্দ-উল্লাসে মত্ত, মুগ্ধ-মাতোয়ারা থাকবে। বেহেশতে কেউ চিন্তিত হবে না, কোনো দিনও মৃত্য আসবে না। পোশাক-পরিচ্ছদ পুরনো হবে না, কোনো দিন বৃদ্ধকাল আসবে না। জান্নাতে দুধ, পানি, মধুর নহরসমূহ প্রবাহিত থাকবে। বেহেশতবাসীগণ যা চাইবে সঙ্গে সঙ্গে তা পাবে।

সুতরাং আখিরাতের সীমাহীন জিন্দেগিতে জান্নাতের নিয়ামাত, ভোগ-বিলাস এবং আল্লাহর দিদার লাভে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন-যাপন বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা সঠিক জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button