ধর্ম ও জীবন

আল্লাহর অবাধ্যতায় পাহাড় নিক্ষেপের সতর্কতা

ঝিনাইদহের চোখঃ

আল্লাহ মহান। বান্দার প্রতি দয়াবান ও ক্ষমাশীল। মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হওয়া সত্ত্বেও রিযিকপ্রাপ্ত হয়, আলো-বাতাস গ্রহণ করে। আল্লাহর মহাঅনুগ্রহ যে তিনি দুনিয়াতে মানুষের হিদায়াতের জন্য সত্য দ্বীনসহ নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। আর আমাদেরকে করেছেন সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠ নবির উম্মাত। দান করেছেন শ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব আল-কুরআন। যাতে রয়েছে মানুষের জন্য সর্বোত্তম উপদেশ, ইতিহাস এবং জীবন চলার পাথেয়। আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী নবিদের ইতিহাস বর্ণনায় বলেন-

আর আমি যখন তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তুর পর্বতকে তোমাদের মাথার উপর তুলে ধরেছিলাম এই বলে যে, তোমাদিগকে যে কিতাব দেয়া হয়েছে তাকে ধর সুদৃঢ়ভাবে এবং এতে যা কিছু রয়েছে তা মনে রেখো যাতে তোমরা ভয় কর। তারপরেও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছ। কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৬৩-৬৪)

ফেরাউনের জুলুম থেকে মুক্তি লাভের পর বনি ইসরাইল আল্লাহর কাছে কিতাবের আবদার করে। আল্লাহ তাআলা তাদের বারংবার আবদারে এবং কিতাব অনুযায়ী জীবন-যাপনের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর তাদেরকে কিতাব দান করেন।

কিন্তু বনি ইসরাইল জাতি এ কিতাব সম্পর্কে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভেঙ্গে ফেলে। এমনি অবস্থায় তাদের সম্মুখে অগ্নি প্রজ্জলিত করা হয় এবং আল্লাহর হুকুমে ফেরশেতাগণ তুর পর্বত তাদের মাথার উপর তুলে ধরেন। এবং তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী কিতাব মানবে কি মানবে না। এ কথার জবাব চাওয়া হয়।

সম্মুখে অগ্নি উপরে পাহাড় এমনি অবস্থায় তাওরাত মেনে চলার অঙ্গীকার করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তাই তারা সঙ্গে সঙ্গে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং আড় চোখে আকাশ পানে তাকাতে থাকে। মাথার উপরে পাহাড় রইলো নাকি গেল তা দেখতে থাকে।
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তাআলা এ ঘটনার ইতিহাস তুলে ধরে মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের বিধি-বিধান মেনে চলার তাগিদ করেছেন। সকল আহলে কিতাবিদেরকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর ঈমান আনার কথাও স্মরণ করে দেন।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে কুরআনের হিদায়াত লাভ করার তাওফিক দান করেন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button