ঝিনাইদহে দুই কন্যার জন্য বেঁচে থাকার আকুতি ফিরোজের

সুমন মালাকার, ঝিনাইদহের চোখঃ
আদরের দু’শিশু কন্যাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে চেয়েছিলেন চা দোকানী ফিরোজ শেখ। তার স্বপ্ন পুরনে সুন্দর এ পৃথিবীতে তাকে আরও অনেকটা সময় বেঁচে থাকা দরকার।
কিন্তু হঠাৎ করেই ফিরোজের জটিল হৃদরোগ ধরা পড়ে। সর্বক্ষণ বুকে তীব্র ব্যথা করছে তার। ব্যথা প্রশমনে তিনি সব সময়ই হাত দিয়ে বুক চেপে রাখছেন। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও স্প্রে নিয়ে কোন রকম দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
দীর্ঘ ১৫ দিন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজল কান্তি দা’র অধীনে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডাক্তার ফিরোজকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তার একমাত্র আয়ের মাধ্যম চায়ের দোকানটি একমাস যাবত বন্ধ।
কোটচাঁদপুর শহরের সলেমানপুর দাশ পাড়ায় পৈত্রিক ৩ শতক বসতভিটা ছাড়া আর তার কোন সম্বলও নেই। যে কারণে তিনি চিকিৎসা নিতে ঢাকায় যেতে অক্ষম। তাই ফিরোজ তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী, শীর্ষ জন প্রতিনিধিসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করেছেন।
ফিরোজের বড় মেয়ে রীমা ৭ম শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে তিন্না ৩য় শ্রেণিতে পড়ছে। বর্তমানে দু’কন্যা, স্ত্রী, বৃদ্ধ মা নিয়ে ফিরোজ এখন দিশেহারা। তাকে সাহায্য পাঠাতে অথবা পরামর্শ দিতে তার স্ত্রী জেসমিনের (০১৮৫২-৫৪৯৫৩০- বিকাশ নম্বরে) যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন।