ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে ডাল ফসলের চাষিদের এখন ব্যস্ত সময়

মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে ডাল জাতীয় ফসলের চাষিরা তাদের ফসল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে আওহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় ফসলের বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষিরা। এরই মধ্যে প্রায় ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ ডাল জাতিয় ফসল কর্তন শেষে হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জেলার ৬ উপজেলায় মসুরি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১’হাজার ৭৪৫ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫’হাজার ৩৪০ হেক্টর। আর এ পরিমান আবাদ থেকে প্রায় ২০’হাজার ৭০৯ মেট্টিক টন মসুরি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

এছাড়া জেলায় মোটরসুটি, মাসকলাই, মুগ, ছোলা এবং অড়হরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২’হাজার ৫১১ হেক্টর, কিন্তু আবাদ হয়েছে ১’হাজার ৭২৭ হেক্টর জমিতে। আর এ পরিমান আবাদ থেকে প্রায় ২’হাজার ১৫৯ মেট্টিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। হিসাব মতে ঝিনাইদহ জেলার বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠির ডালেল চাহিদা পুরন করে রাজধানীসহ পাশর্^বর্তি জেলা গুলোতে ডাল জাতীয় ফসল রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা গ্রামের কৃষক মাজেদুল হক বলেন, এমন সময় ছিল ডাল জাতীয় ফসল মাড়াই করার জন্য গরু বা পশু ব্যবহার করা হত। যেটা ছিল কষ্টসাধ্য এবং অনেক সময় পশুর অভাবে চাষিরা দলবেধি নিজেরাই মাড়ায়ের কাজ করত। যা ছিল ঝামেলা পূর্ণ। কিন্তু এখন সব কিছুতেই সনাত¦নি পদ্ধতি ছেড়ে ফসল মাড়ায়ের জন্য আধুনিকতার ছৌয়া লেগেছে। স্যালোইজ্ঞিনের সাথে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাড়াই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেরার কাশিমপুরের চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, আওহাওয়া অনুকুল ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় ডাল জাতীয় ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এবছর প্রতি বিঘা জমিতে মসুরি ৮ থেকে ৯ মন পর্যন্ত ফলন হচ্ছে। বাজারে চাহিদা এবং দামও বেশ ভালো।

জেলার কালীগজ্ঞের ব্যবসায়ি সুবল সেন বলেন, এবার মসুরিসহ অন্যান্য ডাল জাতীয় ফসলের উৎপাদন ভাল হয়েছে। বর্তমানে প্রতিমন মসুরি ১’হাজার ২’শ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য ডাল জাতীয় ফসলও প্রাই একই দামে বিক্রি হচ্ছে।##

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button