পাঠকের কথা

“ বৈল বৈল “ গান—তরিকুল ইসলাম মিঠু

ঝিনাইদহের চোখঃ

আমাগের মোদি যাগার জন্ম আশি সালের আগে তাগার বোদায় মনে আচে “ বৈল বৈল” গানের কতা।গিরাম এলাকার জুয়ান ছেলেপেলে এ্যাক হয়ে বৈল বৈল গানের দল বানাইতো। ভরা চান্নি রাত্রিরি সেই দল নিয়ে তারা আশপাসের গিরামে বাড়ী বাড়ী যাতো। যেকুনু বাড়ীর জুলিতি ঢুকার সুমায়ই সগোলি এ্যাকসাতে চেচিয়ে উঠতো “ বৈল বৈল” ।

বাড়ীর বিটা বিটিরা সপ জড়ো হতো সেই গান শুনতি। গানের দলের একজন উস্তাদ থাইকতো (উস্তাদ গান লেকতো)। উস্তাদ ভোগে দাড়াতো আর তার চাইরতারে গোল হয়ে সগোলি ঘিরে দাড়াতো। ইবার শুরু হতো গান। উস্তাদ এ্যাক কলি গায়ে ছেড়ে দিতো, সগোলি এ্যাক সাতে এ্যাকসুরি সিডা দুয়াড় ধইত্তো।যেরাম “ গান গাচ্চি আর কতো গাবো, গাচ্চি বাড়ী বাড়ী,আহা..(ইবার সগোলি মিলে- গান গাচ্চি আর কতো গাবো, গাচ্চি বাড়ী বাড়ী), দুই চাইর পয়সা পালি উস্তাদের নাম বলি” আহা..(সগোলি মিলে..দুই চারা আনা….)।

বেশী সুমায় না, চার পাঁচ মিনিট গায়েই সগোলি এ্যাকসাতে কয়ে উটতো, “ বৈল বৈল”। তারমানে শেষ, ইবার চাইল নাই টাকা দেও। বিটিরা টুরি সেরে কইরে এক আদ সের চাইল দিয়ে দিতো, নাইতে দুই চাইর আনা পয়সা। তারপর তারা বৈল বৈল কতি কতি আরাক বাড়ী যাতো। গিরামের ধনি গরীব কুনু বাড়ী বাদ যেতো না। কেউ একমুট চাইল দিলিউ নিতো।

তারপরে আশপাশের সপ গিরাম মারা হইয়ে গেলি সপ চাইল আর টাকা একজাগায় কইরে তারা সগোলি মিলে পিকনিক কইরে খেতো। সে এ্যাক মজার দিন ছিলো। সেইসপ বিনোদন একোনকের ছেলেপেলে পাবেনা কুনুদিন। কনকের ইউটিউব ফেসবুক..!

সেই সপ ছিলো নির্মল, ফেরেস, নির্ভেজাল আনান্দো। আপনাগের যাগার দু এক লাইন “বৈল বৈল” গান মনে আচে তারা গায়ে ফেলেন দিনি, ফিরে যাই সেই দিনগুলোয়। যারা এতা কুনুদিন শুনিনি তাগার খালি আপসোস করা ছাড়া কি আর করা!!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button