ঝিনাইদহে আর্সেনিক প্রতিরোধে কর্মশালা
এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে বুধবার সকালে আর্সেনিকোসিস প্রতিরোধ বিষয়ক একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে সেনিটারি ইন্সেপেক্টর আব্দুল লতিফ এর পরিচালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আরশেদ আলী চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম আব্দুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয় কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, স্বাস্থ্য ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম, বিআরডিবি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রিনা খাতুন, স্বাস্থ্যকপ্লেক্সের ডাক্তারদের মধ্যে আর্সেনিকের ভয়াবহতা ও রোধ কল্পের করণীয় বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন ডাঃ আশরাফুল ইসলাম, সিনিয়র সেবিকাদেরে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুধারানী নাথ, মর্জিনা খাতুন, সামীমা সুলতানা, রজিনা পারভীন। বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৩ সালে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বড়ঘোরীয়া ইউনিয়নে কলের পানিতে আর্সেনিক ধরা পড়ে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ ও ডাঃ আশরাফুল ইসলাম জানান আর্সেনিক একটা মৌলিক পদার্থ স্বাদ ও গন্ধহীন এই আর্সেনিক যুক্তপানি একটানা ছয় মাস পানকরলে আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ পয়েন্ট শূন্য এক মিলিগ্রাম বা পয়েন্ট শূন্য পাঁচ মিলি গ্রাম আর্সেনিক পানিতে থাকলে খুব একটা ক্ষতিকর হবে না, তবে এর অধিক পরিমাণ থাকলে সেইপানি বর্জন করা একান্ত প্রয়োজন। সল্পমাত্রায় আক্রন্ত রোগীদের ভিটামিন এ, ই এবং সি বেশি করে খাওয়ালে রোগ নিরাময় হতে পারে অনেক আংশে।