অন্যান্য

‘গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার ফলে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ’

ঝিনাইদহের চোখঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি সব সময় গবেষণাকে গুরুত্ব দিই। আমরা ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তখন ১২ কোটি টাকা প্রথমে বরাদ্দ দিই। পরের বছর তা ১০০ কোটি টাকা করি।’

বুধবার (১০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার ফলে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আমরা খাদ্য বিদেশেও রপ্তানি করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই, এজন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আরও বেশি আন্তরিক হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

শেখা হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি যারা এখানে বিজ্ঞানী ও গবেষক আছেন আরো ভালকরে গবেষণা করুন যাতে আরো কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশি উৎকর্ষতা লাভ করতে পারে।’

তিনি বলেন, কোথায় কোথায় আমাদের আরো বেশি বিনিয়োগ করা দরকার সেইভাবেই আমাদের দেশের জলবায়ু, মাটি, পানি সবকিছু নিয়েই আপনাদের কাজ। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সবাই কাজ করবেন সেটাই আমি চাই। কারণ বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলবো সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা কারো কাজ থেকে পিছিয়ে থাকবো না সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কারণ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। তাঁদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান থেকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে আমি মনেকরি গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবক্ষেত্রে গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ। গবেষণার মধ্যদিয়েই সমাজকে আমরা গড়ে তুলতে পারি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে ও সব কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক মেধাবী। কাজেই তারা পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং থাকবেও না। সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৩ সালে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন।’

দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে টেকসই করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র গবেষণাই দিতে পারে আমাদের সেই পথ। ’ তাঁর সরকার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাতে করে আমাদের অর্থনিশ্চিত এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনকে আমরা টেকসই করতে পারি, তার উপর আরো ব্যাপকভাবে যাতে গবেষণা হয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যাতে যথাযথ ব্যবহার হয় সেইদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি।সরকার ইতঃপূর্বে গৃহীত জাতীয় আইসিটি নীতিমালা-২০১৪-কে আরও আধুনিক করে ‘জাতীয় আইসিটি নীতিমালা-২০১৮’ প্রণয়নের কাজ করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট’ গঠন করেছি। এই ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে ও বিদেশে অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে বলেন, অতীতে দেখা গেছে ট্রাস্ট ফান্ড না থাকার দরুন অনেক গবেষণা কর্মকান্ডই অর্ধেক চলার পরে পরবর্তী সরকার এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেটা যেন আর না হয়।

প্রতি বছরের মতো এবারও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিশেষ গবেষণা অনুদান এবং এনএসটি ফেলোশিপের চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০ ফেলো উপস্থিত থেকে নিজ নিজ চেক গ্রহণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button