অন্যান্য

নুসরাত হত্যা : কেরোসিন নিয়ে যাওয়া সেই বান্ধবী আটক

ঝিনাইদহের চোখঃ

ফেনীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় কামরুন্নাহার মনি নামে আরেকজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার রাতে ফেনী থেকে তাকে আটক করা হয়।

ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক কামরুন্নাহার মনি নিহত নুসরাতের সহপাঠী বান্ধবী। তিনিও আলিম পরীক্ষার্থী। নুসরাত হত্যার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের সম্পর্কে ভাগনি হন মনি। ঘটনার দিন মনি এক লিটার কেরোসিন বহন করে মাদরাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তদন্ত সাপেক্ষে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম। মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরও এক আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পিবিআই।

এদিকে গত রোববার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম। জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button