ঝিনাইদহের হাজার বছরের মন্দিরটিই হতে পারে দর্শনীয় স্থান

ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর বাজারে অবস্থিত শিব মন্দিরটার বয়স ১২০০ বছরেরও বেশী হবে। এলাকাবাসীর মতে এটি এতটাই প্রাচীন তার পূর্বপুরুষ, পূবপুরুষের মুখ থেকে মন্দিরের কথা শুনে আসছে কিন্তু সঠিক ভাবে কেউই মন্দিরের সঠিক বয়স বলতে পারে না। মন্দির কমিটির ষভাপতি বাবু রঞ্জন মজুমদার , সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দাশ, পুরোহিত মিলনšদ বাবাজীর ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রাচীন এই মন্দির সম্পর্কে জানা যায় তাঁরা তাদের পূর্বপুরুষ থেকে এই মন্দিরে পূজাঅর্চনা চলে আসছে।
এখানে শ্রী শ্রী শিব মন্দির ছাড়াও রাধা মন্দির ও কালি মন্দির অবস্থিত রয়েছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শেষে চৈত্র সংক্রান্তি পালনসহ শিবের মাথায় জল ঢালার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । এ বছর ৪ দিন ব্যাপী আনুষ্ঠানে ২৫ জন সন্ন্যাস্যী আবস্থান করেন এবং এনাদের নেতৃত্ব দেন সন্নাস্যী প্রধান জয়দেব সাহা (৫০)। শিবের আশীর্বাদ লাভ করতে দূরদুরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এবং শিবের মাথায় জল ঢালেন।
শিব মন্দিরের পাশেই অবস্থিত কারি মন্দির। এখানে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার কালিপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ পূজাতে সাধারণত মাঝবয়সী ছেলে-মেয়েরা বেশী অংশগ্রহণ করেন। এর পাশেই রাধা মন্দির/শ্রী পাঠ রাধা বল্লভ অবস্থিত। এখানে সকাল সন্ধ্যা হিন্দুধর্মাম্বলীরা পূজা অর্চনা করেন। রাধার গুণগান গাওয়াটাই মুখ্য বিষয়।
এই মন্দির প্রাঙ্গনে মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময় নামযঞ্জ অনুষ্ঠিত হয়। শ্রাবণ মাসে এখানে ঝুলন যাত্রাও অনুষ্ঠিত হয়।
সবচেয়ে মজার বিষয় ও ভালোলাগার বিষয় এখানে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় যথা নিয়মে মা দুর্গকে বিসর্জনও দেওয়া হয় পরবর্তীতে নতুন দুর্গামার প্রতিমা তৈরী করে সারাবছর রেখে দেয়।
মন্বিদর কমিটর সাথে কথা বলে জানাগেল মন্দিরের নামে প্রায় ৮০ বিঘা জমি আছে , যেখান থেকে অর্জিত অর্থ মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যয় করা হয়, সাথে সাথে গরীব দুঃখীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে ব্যয় হয়। সর্বপোরি বহু পুরাতন ঐতিহ্যবাহী ্এই মন্দির আমাদের দেশের প্রতœতত্ব একটি নিদর্শন, যা সঠিক ভাবে রক্ষা করতে পারলেই আমরা আমাদের শিকড়ের সন্ধান পাবো