অন্যান্য

৭ নম্বর বিপদ সংকেত

ঝিনাইদহের চোখঃ

সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫ হাজার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

এ কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফদতর। এ ছাড়া মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২৮) জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এদিকে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন। প্রস্তুতির একেবারে গোরাতেই ছুটি বাতিল করা হয়েছে ত্রাণ কাজে জড়িত সকল সরকারি কর্মকর্তাদের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজকে সর্তক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button