ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

পঞ্জিকায় ঝিনাইদহে আম পাকবে কবে?

ঝিনাইদহের চোখঃ

প্রতি বছরের মতো এবারও আম সংগ্রহের জেলাভিত্তিক নতুন পঞ্জিকা তৈরি করেছে সরকার। কেননা, জলবায়ুগত ভিন্নতার কারণে জাতভিত্তিক যে পঞ্জিকা ছিল, তা নিয়ে আপত্তি ছিল অনেকেরই। নতুন পঞ্জিকা অনুযায়ী সবার আগে আম সংগ্রহ শুরু হবে সাতক্ষীরায়, হিমসাগর দিয়ে। এরপর যশোর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম। সব শেষে দিনাজপুরের সূর্যপুরী।

শুধু রাজশাহী নয়, দেশের ১৩ টি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আম।
তবে অপরিপক্ক আম রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত বন্ধে কয়েক বছর ধরে জাতভিত্তিক আম সংগ্রহ করার তারিখ ঠিক করে দেয় সরকার। কিন্তু জেলায় আবহাওয়ার পার্থক্য হওয়ায় তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। তাই নতুন করে জেলাভিত্তিক আমের পঞ্জিকা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

পঞ্জিকা অনুযায়ী: সাতক্ষীরার হিমসাগর ও গোপালভোগ আম সংগ্রহ হবে মে ’র ২য় সপ্তাহে। যশোরে শুরু হবে মে মাসের ২২ তারিখের পর। মেহেরপুরের আম বাজারে আসবে মে মাসের ৩য় সপ্তাহ থেকে। ঝিনাইদহের আম পাকা শুরু হবে মে মাসের শেষ সপ্তাহে। কুষ্টিয়ার আম মিলবে মের ৩য় সপ্তাহে। চুয়াডাঙ্গার হিমসাগর ও ল্যাংড়া জুনের ১ম সপ্তাহে, আম্রপালি ও ফজলি জুলাইয়ের ১ম সপ্তাহে। রাজশাহীর গোপালভোগ মের ২য় সপ্তাহে, হিমসাগর জুনে ১ম সপ্তাহে, ল্যাংড়া ও লক্ষণভোগ জুনের ২য় সপ্তাহে। আমের রাজধানী চাপাইনবাবগঞ্জের গোপালভোগ মের ৪র্থ সপ্তাহে, হিমসাগর জুনের প্রথম সপ্তাহে আর ফজলি মিলবে জুনের ৪র্থ সপ্তাহে। রংপুরের হারিভাঙ্গা আম পাকা শুরু করবে জুনের শেষ সপ্তাহে। বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া আম্রপালি মিলবে জুনের ৩য় সপ্তাহে। আর মৌসুমের শেষ আম দিনাজপুরের সূর্যপূরী পাকবে আগষ্টের ৩য় সপ্তাহে।

সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মোহাম্মদ মুজিবুল হক বলেন, এই পঞ্জিকা আমের অপচয় রোধে রাখবে ভূমিকা। এবং পর্যায়ক্রমে এই আম আসার প্রক্রিয়া বাজারে স্থিতি আনবে।

পুষ্টিবিজ্ঞিানী ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আম থেকে যে পুষ্টি পাই, পঞ্জিকাটি কার্যকর হলে দেশের মানুষ কমপক্ষে ৪-৫ মাস পর্যায়ক্রমে আমের পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে।

আম চাষীরা বলেন, সরকারের নির্ধারিত সময়ে আমরা আম গুলো পেড়ে থাকি। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবে না।
সারাবিশ্বে সাড়ে ৩শ জাতের আম চাষ হলেও মাত্র ১২টি জাতের আম বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করে বিশ্বে ৮ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button