রমজানে রোগীদের করণীয়
ঝিনাইদহের চোখ ডেস্কঃ
মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। সোমবার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করবেন। সেই সাথে ভোর রাতে সেহরি খেয়ে প্রথম রোজা পালন করবেন।
এই রমজানে অনেক রোগী রোজা রাখার নিয়োত করলেও হয়তো বুঝতে পারেন না রোজা রাখা ঠিক হবে কিনা। বিশেষ করে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ক্ষেত্রে সাধারণত রোজা রাখার বিধিনিষেধ নেই।
তবে যেসব রোগীর ‘একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’ হয়েছে কিংবা হার্টফেইলিউর আছে কিংবা হার্টের স্পন্দনে গণ্ডগোল আছে কিংবা হার্টফেইলিউরের কারণে শ্বাসকষ্ট হয়ে যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই রোজা রাখার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
লিভারের অসুখে আক্রান্ত রোগীদের রোজা রাখা নির্ভর করে কী ধরনের লিভার রোগে আক্রান্ত তার ওপর। যেমন ভাইরাল হেপাটাইটিস। এ রোগে বেশির ভাগ সময়ে রোগীর ক্ষুধামন্দা হয়, বমি কিংবা বমি বমি ভাব থাকে কিংবা শরীর অসুস্থ বোধ হয় কিংবা নিস্তেজ মনে হয়। এ উপসর্গগুলো তীব্র হলে ও জন্ডিসের মাত্রা বেশি হলে রোগীর শিরায় স্যালাইন দিতে হয়। এ অবস্থায় রোজা রাখা বাঞ্ছনীয় নয়।
লিভার সিরোসিস রোগীর উপসর্গ হিসেবে থাকে খাওয়ার প্রতি অনীহা, পেটের পীড়া, আমাশয় অথবা ডায়রিয়া ইত্যাদি। এসব উপসর্গের মাত্রা যদি কম থাকে, তাহলে রোজা রাখতে বাধা নেই। কিন্তু যদি রোগীর পেটে ও পায়ে পানি জমে এবং ডাইইউরেটিক ওষুধ সেবন করতে হয় তখন রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে গিয়ে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোজা রাখা উচিত নয়। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর পক্ষে রমজানের রোজা রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।
যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন, তাঁরা ইফতারির সময় সালাদ, ফলের রস কিংবা ইসপগুলের ভুসি এবং খাবারের সময় পর্যাপ্ত সবজি খাবেন।