বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিব নগরে রেলপথ নেই–সাহিদুল এনাম পল্লব
ঝিনাইদহের চোখঃ
যাতায়াত নিরাপদ, অর্থ ও সময় সাশ্রয় আন্দদ জনক ভ্রমণ হল রেল ভ্রমণ। আজ ঢাকা মহানগরীতে বিলাস বহুল রেল ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। ঢাকার সাথে দক্ষিণ অঞ্চলের জেলা গুলির এক মাত্র যোগাযোগ বাবস্থা হল সড়ক পথ।
রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তাবায়নের পর দক্ষিণ অঞ্চলের জেলার মানুষের রেল পথের চাহিদা বেড়ে যায়। যার কারনে আজ দাবী উঠেছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রাজধানী মুজিব নগরের সাথে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।
সরকার ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য ফরিদপুর জেলার মধুখালী হয়ে কামারখালী ব্রিজ পার হয়ে মাগুরা হয়ে যশোর পযুন্ত রেল লাইন স্থাপনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এই ক্ষেত্রে সরকারের রেলপথ উন্নয়ন কর্মসূচী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর বাসী।
যদি রাজধানী ঢাকার সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ যশোর হয়ে যেতে পারবে কিন্ত এই ক্ষেত্রে এই জেলার মানুষকে প্রায় ঢাকা যেতে ৫০ কিমি পথ বেশী পাড়ি দিতে হবে । পক্ষান্তরে মেহেরপুর জেলার মুজিব নগরের সাথে কোন রেল যোগাযোগ নেই। রেল পথের সহজ ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার মানুষ।
প্রতি বছর আসে ১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস। এই দিবস উপলক্ষে সরকারের অনেক মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের আসতে হয় মেহেরপুরের মুজিব নগরে। তাছাড়া সারা বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ আসে মুজিব নগর বেড়াতে। যার কারনে মুজির নগর বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জাইগা। এই জাইগা আরও সমৃদ্ধ নগরীতে পরিণত হতে পারে যদি মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে চুয়াডাঙ্গা দিয়ে রেলপথ মেহের পুরের মুজিব নগরে নিয়ে যাওয়া যায়। তাহলে এই অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য সহ নিরাপদ রেল ভ্রমণের নিশ্চয়তা পাবে।
প্রতিদিন সড়ক পথে দুর্ঘটনায় লোক মারা যায়। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এই অঞ্চলের মানুষ তথা ঝিনাইদহ মেহের পুরের মানুষ কি পেতে পারে না স্বপ্নের রেলপথ। যে রেলে চড়ে সারা বাংলাদেশ থেকে দলে দলে নিরাপদের পৌঁছে যাবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঐতিহাসিক মুজিব নগরে। উন্নয়নের সেই রেল পথের ছোঁয়ার নিরাপদ প্রানের স্পর্শ লাভ করবে ঝিনাইদহ জেলার মানুষ।