বন্ধু ধর্ষক–গুলজার হোসেন গরিব
ঝিনাইদহের চোখঃ
তোমার সাথে আমার সম্পর্ক এমন ভেবে
আমি নির্জনে এতো রাতে তোমার কাছে আসিনি,
তোমাকে আমার মনের মানুষ ভেবে বন্ধু ভেবে
মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসেছি।
এসেছি ঐ পরিস্কার আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
দেখবো বলে দু’জনে।
হাতে হাত রেখে হাঁটবো নদীর কূল ধরে
চোখে চোখ রেখে কথা বলবো
কথার সত্যতা জানার জন্য
মানব ইতিহাস জানবো হিঁজল তলায় বসে।
না তুমি সে নও
যাকে মনে করে আমি এখানে এসেছি
তোমার হাত চোখ ঠোঁট শারীরিক বলয়
উত্তপ্ত কামুক হয়ে উঠেছে।
তোমার হাত আমার হাতে রাখছো না।
তোমার হাত আমাকে কামিনী করে তোলার জন্য
আমার স্পর্শকাতর জায়গা স্পর্শ করছে।
তোমার চোখ আমার চোখে পড়ছে না
পড়ছে আমার বুকের দিকে,যদিও আমার বুক
পোশাকে ঢাকা,পোশাক ভেদ করেই যেনো
তোমার চোখ আমার উলঙ্গ বুক দেখছে।
তুমি আমার হাত ধরে হাঁটতে চাচ্ছো না।
তোমার হাত ক্রমাগত আমাকে শুইয়ে দিতে চাচ্ছে
ঘাসের’পর হিঁজল তলায় নদীর পলি মাটিতে।
তুমি আমাকে কোনো ইতিহাস জানাচ্ছো না
বরং তোমার শারীরিক বলয় পুরুষদণ্ড
কোনো নতুন ইতিহাস গড়তে চাচ্ছে,
আমার অনুমতি ছাড়া তোমার পশুত্ব আমাকে
ছিঁড়ে খেতে চাচ্ছে।
আমাকে ছেড়ে দাও,তোমার কামুক লালা
ঠোঁট বেয়ে আমার সারাগায় পড়ছে,
আমাকে ছেড়ে দাও,তোমার অসুর শক্তি আমাকে
পরাস্ত করছে।
আমাকে ছেড়ে দাও,তুমি সবমিলিয়ে আমাকে
ধর্ষণ করছো ধর্ষণ করছো তুমি ধর্ষক
বন্ধু নও।