বাংলার ‘ভেনিস’ বরিশাল

ঝিনাইদহের চোখঃ
বরিশাল বিভাগের একটি প্রসাসনিক অঞ্চল বরিশাল জেলা। বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের মূল উৎস বলা হয় এই বরিশাল অঞ্চলকে। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই জেলাটি। এর পূর্ব নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ। একে বাংলার ‘ভেনিস’ও বলা হয়ে থাকে। বরিশাল জেলাকে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরে রূপান্তরের জন্য বংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে নানান প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরও রয়েছে এই বরিশালে।
বরিশাল নামকরণ নিয়ে নানান মতভেদ রয়েছে। এক কিংবদন্তি জানান, অনেক আগে এখানে বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো, আর এই বড় শাল থেকে (বড়+শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি ঘটেছে। আবার অনেকে দাবি করেন, পর্তুগীজ প্রেমিকযুগল বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর থেকে বরিশাল নামটি এসেছে। আরেক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবণের চৌকিকে ‘বরিসল্ট’ বলতো। আর এই বরিসল্ট শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল নামের উৎপত্তি ঘটে।
ব-দ্বীপ অঞ্চলের অন্যতম জেলা বরিশাল। নদী, বিল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভয়ারণ্য এই জায়গা। এই এলাকার মানুষদের প্রিয় খাবার মাছ। বরিশালের ইলিশ পৃথিবী বিখ্যাত। এই ইলিশ মাছের স্বাদ অতুলনীয়। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে এই ইলিশ মাছ। মাছ ছাড়াও এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে হাঁস-মুরগি পাওয়া যায়।
যদিও বরিশাল জেলা ঘিরে রয়েছে নদ-নদী, তারপরও এখানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে গুতিয়া মসজিদ, মিয়া বাড়ি মসজিদ, দুর্গা সাগর দীঘি ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে লাটুকিয়া জমিদার বাড়ি। আরো রয়েছে শাপলার রাজ্য খ্যাত সাতলার শাপলা গ্রাম। এই পুরো গ্রাম ধরেই শাপলার চাষ করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে বরিশাল জেলার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো।