উচ্চ শিক্ষায় সহযোগিতা পাওয়ায় মহেশপুর প্রেসক্লাবের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ
শামীম খাঁন, ঝিনাইদহের চোখঃ
অদম্য মেধাবী ছাত্রী শাহানাজ পারভীনের বাড়ী ঝিনাইদহের মহেশপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল আদমপুর গ্রামে। বাবা একজন দীন-মজুর, মা পরের বাড়ীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে সে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগে অনার্সের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
বুধবার সকালে হঠাৎ মিষ্টি হাতে করে শাহানাজ পারভীন ও তার বড় বোন রেশমাকে সাখে নিয়ে মহেশপুর প্রেসক্লাবে এসে হাজির হয়। উদ্দেশ্য গন-মাধ্যম কর্মীরা তাকে শিক্ষা প্রসারে সহযোগিতা করায় সাংবাদিকদের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ। তার চোখে মুখে ছিল হাসির ঝলক।
এ সময় সাংবাদিকরা হত-বিহবল হয়ে পড়ে। কারন সাংবাদিকরা অনেক সংবাদই লেখে কিন্তু এই ধরনের কৃতঞ্জতা প্রকাশ করে কজন ? গত বছর মহেশপুর প্রেসক্লাবে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় অঝোরে কেঁদেছিল। সেদিন তার উচ্চ শিক্ষার সংশয় ছিল।
তার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শিখে প্রশাসনিক ক্যাডারে চাকুরী করবে। কিন্তু এক চোখ অন্ধ দিন-মজুর পিতার পক্ষে ঐ স্বপ্ন বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব ছিল না এই চিন্তায়। মহেশপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তার জীবন কাহিনী নিয়ে প্রতিবেদন লিখলে দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়।
তাঁর কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খোজ-খবর নিয়ে শাহানাজের উচ্চ শিক্ষার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। ঐ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পেয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি তাকে সহযোগিতা করে। এদের প্রতি শাহানাজ বিনম্র কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে শাহানাজ সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছে।
উল্লেখ্য, শাহানাজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৩৪তম স্থান অধিকার করেছিল। সে টিউশনি করে যে অর্থ পায় তার একটি অংশ দরিদ্র বাবা-মায়ের খরচের জন্য পাঠায়।