#ঝিনাইদহের চোখঃ
শৈলকুপায় একটি ধর্ষন মামলা তুলে নিতে এবার ধর্ষকের পরিবার ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছেন। তারা নিজেরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের হাত কেটে ও ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ধর্ষন মামলার বাদী ও সাক্ষিদের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
অথচ মামলা করে বাদীসহ তার পরিবার ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এখনো গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক রাব্বুল। সে ঢাকায় পালিয়ে আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন মামলার বাদী মোঃ ইনসান আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ৩১ মে শৈলকুপার মীর্জাপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে তার প্রতিবন্ধী বোন তানিয়া সকালে কাপড় ধুতে কুমার নদীতে যায়। এ সময় ধর্ষক রাব্বুল তার বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার হাত ধরে পাট ক্ষেতে নিয়ে বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে।
ধর্ষক রাব্বুলের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দেখিয়ে বোনকে ভয় দেখিয়ে বলে কাওকে যেন এ কথা না বলে। ধর্ষনের খবরটি দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ধর্ষিতার বড় ভাই মোঃ ইনসান আলী বাদী হিসেবে গত ১ জুন শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা করার পর থেকেই ধর্ষক রাব্বুলের পরিবার ও সামাজিক দলের নেতারা সাজানো ও আজগুবি অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে, যাতে ধর্ষন মামলাটি তুলে নেয়। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৩ জুন রাতে নিজেরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের হাত কেটে, ঘরের বেড়া ভেঙ্গে বাদী ও স্বাক্ষীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট সাজানো ডাকাতির অভিযোগ শৈলকুপা থানায় দায়ের করে।
এছাড়া বাদীর পরিবার ও স্বাক্ষীদেরকে প্রতিনিয়ত জীবননাশের হুমকী দিচ্ছে ধর্ষকের পরিবার। ভয়ে বাদী গ্রামে যেতে পারছে না। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করেন।