ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

কেন মধ্যরাতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র রাস্তা মেরামতে রাস্তায়??

#ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত সড়কটি ২৮৫ মিটার দীর্ঘ। এক বছর ধরে সড়কটিতে খানাখন্দ বাড়তে থাকে। এটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের অধীন। জনপ্রতিনিধিরা বারবার তাগিদ দিলেও চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেও এটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সড়ক বিভাগ। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শহরবাসীর দাবির মুখে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র নিজেরাই মেরামতের কাজে হাত লাগান। পিচসহ পাথর ঢেলে তা সমান করতে রোলারের স্টিয়ারিং ধরেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। তাঁকে সহায়তা করেন মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। পোস্ট অফিস মোড়, সুইট হোটেলের সামনের অংশ ও বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে মেরামতকাজ করান তাঁরা। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ তখনো হাত গুটিয়ে।

খোঁজ নিলে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম গত শনিবার জানান, পায়রা চত্বর থেকে পোস্ট অফিস অংশ রক্ষণাবেক্ষণে গত ২০ মে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। রবিবার (গতকাল) থেকে কাজ শুরু করবে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান। তাতে ব্যয় হবে ১৪ লাখ টাকা। কাজ শেষ হবে ২৭ জুন। কেন এত দেরিতে কাজ শুরু করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরো প্রকল্পের কাজের জন্য এই কাজে দেরি হয়েছে।’

জানা গেছে, বরাদ্দ বাড়লেও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীদের গাফিলতি ও ঠিকাদারদের কারসাজিতে জরুরিভাবে সড়ক মেরামত হচ্ছে না বিভিন্ন সড়ক বিভাগে। আবার মেরামত করা হলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বছর না ঘুরতেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রকৌশলীরা দরপত্র ও বরাদ্দের প্রক্রিয়া এবং বৈরী আবহাওয়ার অজুহাত তুলে দায় সারতে চেষ্টা করেন। বিভিন্ন অজুহাত তুলে অর্থবছরের শেষ পর্যায়ে জরুরি কাজের দরপত্র আহ্বান করেন। এর মাসুল দিতে হয় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের সুপারিশ করেছেন। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, প্রকৃতপক্ষে মাঠে তদারকি থাকা দরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button