কালীগঞ্জটপ লিড

ঝিনাইদহে ভাঙ্গা ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

#ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারবাজার থেকে হাকিমপুর সড়কের বেহাল দশা অনেক দিনের। এর সঙ্গে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাঁকোবাজারের ব্রিজটি। তিন মাস ধরে ভেঙে পড়া ব্রিজটি আজও সংস্কার করা হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবহন ও পথচারীরা। উপজেলার ব্যস্ততম এই সড়কের ব্রিজটি দীর্ঘদিন ভেঙে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন নজর সেদিকে নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় সেখানে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্র জানায়, উপজেলার বারবাজার হতে হাকিমপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এই সড়কটি দিয়ে এলাকার সাঁকোবাজার, চাঁনপাড়া, ধোপাদী বাজার, যত্রাপুরগ্রামের মানুষসহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ প্রতিদিন কালীগঞ্জ-বারবাজার-হাকিমপুর যাতায়াত করেন। সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে এ অঞ্চলের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ভাঙা ব্রিজের পাশে অবশিষ্ট জায়গাটুকু দিয়ে পথচারীরা চলাচল করছেন। কোন অপরিচিত ব্যক্তি ওই সড়কে এলেই ভাঙা ব্রিজের কাছে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। বিশেষ করে রাতের আঁধারে ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের। গতমাসে গর্তের মধ্যে ইঞ্জিনচালিত আলমসাধু পড়ে তা সড়কের পাশে উল্টে যায় আহত হয় আলসাধুর যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দা সৈারভ হোসেন বাবু বলেন, সড়কটির ওপর ব্রিজ অনেকদিন ধরে ভেঙে পড়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। সেখানে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে ভাঙ্গা স্থানে, লাঠি দিয়ে পথচারীদের সতর্ক করা হয়েছে, তারপরও দুর্ঘটনা থেমে নেই।

পথচারী আব্দুল গণি জানান, সড়কটি এই অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় কষ্ট কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। যতদ্রুত সম্ভব ব্রিজটি মেরামতের প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

ইউপি সদস্য রানা বলেন, ধোপাদী বাজার হতে বার বাজার সড়কে অনেক স্থানে মাটির নিচে সড়ক দেবে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি সড়কের মাঝে মাঝে সৃষ্ট গর্তের কারণেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের ব্রিজ মেরামতের পাশাপাশি দেবে যাওয়া প্রতিটি স্থান মেরামত করা এখন জরুরি। এলকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ভেঙে যাওয়া ব্রিজসহ প্রতিটি গর্ত দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button