মানুষ হবার আহ্বান –বালিবে রিফাত (ছদ্ম নাম)
#ঝিনাইদহের চোখঃ
মিষ্টি মধুর দেশে
যেখানে পাখির কলকাকলিতে এ হৃদয় প্রকৃতিতে মেশে।
যেখানে তটিনী বয়ে চলে আপন মনে,
যেখানে অফুরন্ত সুখ মাঝি মাল্লার প্রাণে।
গ্রীষ্ম হইতে বর্ষণ-
বিচিত্র এক পরিবেশ এখন,
নিত্য দিন হচ্ছে ধর্ষণ।
শরৎ থেকে হেমন্ত-
খুন যখম হচ্ছে জুড়ে বাংলার সিমান্ত,
এই মিষ্ট ভূমি?
এই কি তার রূপ?
কোথায় হারালো সেই অপরূপ
কোথায় গেলো সেই রঙিন বধূ,
পুকুর পাড়ে যেতো
কলস ভরি শীতল জল কাখে করে নিয়ে আসতো |
কোথায় গেলো হিজল তমাল
কোথায় সেই ছায়া..?
সব খানেই আজ বড্ড করুণ
কোথাও নাই মায়া।
বধূর সামনে স্বামী যখম,
খুনীরা সব করছে খতম।
এই কি তবে সভ্যতা?
এই কি নব ভ্রাতৃত্বতা?
এমন যদি হয়,
মেয়ে জন্মানো দায়।
মেয়ে হলেই ধর্ষিত হবে
বাবা মায়েরা নিশ্চিত থাকবে।
তবে চায় না এমন সভ্যতা
ফিরাবো পুরোন মানসিকতা।
পুরুষ দেখলে গায়ের বধূ আচল টেনে নিতো,
সে দৃশ্য বড়ই মধুর মনে হতো।
সে সব না হয়, বিলিন আজ।
সভ্যতায় পূর্ণ পুরো দেশ।
তবে কেন ধর্ষণে হচ্ছে নারীরা সর্বশেষ?
মাতৃপ্রিয় বোন, বধূরা মায়ের মতোই কোমল,
মাতৃ রূপেই বিরাজিত যেন, জলে ফোটা কমল।
সেই নারীকে আঘাত করিস
সম্ভ্রম নিস লুটে,
সেসব ভেবে ধর্ষক কি তোর একটুও বুক ফাটে..?
মধুর এই বাংলা মায়ের বুকে,
কত দৃশ্য যায় একে।
পারি না কি একটু আমরা নিজেদের বোঝাতে,
তবেই এই বাংলা মাকে পারবো নতুন রূপে সাজাতে।
আবার সব গাছে গাছে ডাকবে কোকিল কুহু,
কোথাও ফিরে কাঁদবে না ধর্ষিত নারীর রুহু।
কোথাও আর হবে না, মা বোনের আত্মচিৎকার।
কোথাও আর করতে হবে না লাশের সতকার।
বসন্তের বাসন্তি রাঙাবে ভূবন,
ভ্রাতৃত্বের মায়াজালে করবে আপন।
সব ফেলে আগে মানুষ হয়ে উঠি।
ঘরে ঘরে পাঠাবো,
ভ্রাতৃত্ববোধের চিঠি।
দখিনের ঐ বঙ্গোপসাগর হতে-
ছড়াবে শীতল হাওয়া,
ভ্রাতৃত্ব আর ভালোবাসার রইবে চির সবুজ ছাওয়া।