ঝিনাইদহে গৃহবধুকে বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগ
#এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর পল্লীতে এক গৃহবধুকে জোর পূর্বক বিষ খাওয়ায়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছে গৃহবধুর পিতা মাতা আত্মীয় স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চর আড়–য়াকান্দি গ্রামে। গৃহবধু সোনালীর পিতা সোগাহপুর গ্রামের খাকচার আলী অভিযোগ করেন গত তিন বছর পূর্বে তার মেয়ে সোনালীর সাথে চর আড়–য়াকান্দি গ্রামর মহিউদ্দীনের ছেলে বিপুলের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে ষাট হাজার টাকা সহ বিভিন্ন চাওয়া পাওয়ার বিষয়ে বিপুল ও তার পিতা মাতা সোনালিকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে জামাই বিপুল মাঠে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে অকারণ অছিলায় স্ত্রী সোনিয়াকে বেধড়ক মারপিট করে পরে এক পর্যায়ে সোনালীকে মা ফুলশোভার সহযোগিতায় নির্যাতন শেষে জোর পূর্বক মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশী গৃহবধু পিঞ্জিরা খাতুন( পিঞ্জিরা খাতুন ও সোনালী একই গ্রামের মেয়ে) বিপুলদের বাড়িতে এসে সোনালীকে পড়ে থাকতে দেখে সোনালীর কাছে জানতে চাইলে সোনালী তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে তার স্বামী বিপুল ও শ্বাশড়ী অনেক মারধর করে ও তার মুখে জোরপূর্বক বিষ ঢেলে দিয়েছে, আমি যদি মারা যায় তাহলে তুই সবাইকে সত্য ঘটনা জানিয়ে দিবি।
এছাড়াও সোনালী মাতা জানান গত ছয় মাস পূর্বে মেয়ে সোনালীর পেটে থাকা পাঁচ মাসের বাচ্চা জামাই বিপুলের পেটে লাথি মারার কারণে অ্যার্বশন করাতে বাধ্য হয়েছিলাম। এরপর মুমূর্ষ অবস্থায় সোনালীকে প্রতিবেশীরা প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে, কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবারে সোনালী মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় ফরিদপুর সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ফরিদপুর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে সোনালীর মরদেহ রবিবার চরআড়–য়াকান্দি গ্রামে দাফনের পূর্বেই লাশ বেচাকেনা নিয়ে দর কসাকসি শুরু হয়,অবশেষে দুই লক্ষ্য পঁঞ্চাশ হাজার টাকা চাওয়ার বিপরীতে চল্লিশ হাজার টাকায় সমঝতা হয় যা আগামী রবিবার পরিশোধের দিন ধার্য করা থাকে।
অপর দিকে সোনালীর বাবা খাকচার আলী তার মেয়েকে বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগে হরিণাকুÐু থানায় জামাই বিপুল, বিয়াই মহিরুদ্দিন ও বিয়ান ফুলশোভা খাতুনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ দায়েরের পর নিহতের শশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এছাড়াও এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।