#ঝিনাইদহের চোখঃ
১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিজিটি কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসক এএসএম সাইদ সোহাগ’র। সন্তানের সন্ধান না পেয়ে পাগলপ্রায় তার বাবা-মা। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর গ্রামে চলছে আহাজারি। দিন-রাত ছেলের ফেরার অপেক্ষা করছে মা-বাবা। কাঁদতে কাঁদতে যেন চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তাদের। দিনরাত ছেলের ছবি নিয়ে কাঁদছেন তারা।
নিখোঁজ সোহাগ’র পিতা মশিউর রহমান জানান, বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন সোহাগ। ২৩ জুন রাতে তার কাছে ফোন আসে সোহাগ গুরুতর অসুস্থ। পিতা ফোন করলে তার সাথে অস্বাভাবিক ভাবে কথা বলেন সোহাগ। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের লোকজন বরিশালে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়েও তার সন্ধান পাননি। ২৬ জুন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নিখোঁজ ওই চিকিৎসকের বড় ভাই শামীম সরোয়ার। তারপরও কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না তার।
তার ভাই শামী সরোয়ার বলেন, সোহাগ নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা বরিশালের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেছি। তবুও তাকে পাওয়া যায়নি। সে মানসিক বিকারগ্রস্থ অবস্থায় তার রুম থেকে বের হয়ে যায়। কোথাও সোহা’র সন্ধান পেয়ে নিকটস্থ থানায় বা (০১৯৪৫-৬১৬৭৭১) এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিট্রনের কমিশনার সাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা ছেলেটির উদ্ধারের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছি।