ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে দেশীয় খেজুর গাছ অস্তিত্ব সংকটে

#মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ

সৌদি আরবের মতো বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় বিদেশি খেজুর চাষ করার চেষ্টা শুরু হলেও হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর। বিগত বছরগুলোতে যেমন গ্রামবাংলার প্রকৃতির দিকে তাকালে চোখে পড়তো খেজুর গাছ।

এদিকে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মধু বৃক্ষ নামের পরিচিত এই খেজুর গাছগুলো।

অভিযোগ উঠেছে, প্রতি বছর ইটপোড়াতে হাজার হাজার মন কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু খেজুর গাছ কোন প্রকার রক্ষনা বেক্ষন করা হচ্ছে না। ফলে শুধু মাত্র বনই উজাড় হচ্ছেনা, হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম দিকের সুমিষ্ট ফল। একই সাথে পরিবেশেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নানা কারণে ও প্রকৃতি প্রেমিকের অভাবে গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এসব খেজুর গাছ। বাজারে হরেক রকমের খেজুর পাওয়া গেলেও এখন আর ‘দেশি খেজুর’ চোখেই না পড়ায় দিনে দিনে ক্রেতাগণ ভুলে যাচ্ছে দেশী খেজুরের কথা। তবে পিছনের দিকে ফিরে তাকালে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে অনেকেরই। গ্রামে খেজুরের রস খাওয়ার কথা কারোরই ভোলার নয়। তেমনি পাকা খেজুর ভোরের বেলা কুড়িয়ে খাওয়ার কথাও অনেকেরই মেন পড়বে। তবে বাংলাদেশের খেজুর গাছগুলোর খেজুর সৌদি আরবের মতো খাওয়ার উপযোগী করে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন না করা গেলেও দেশের খেজুরগুলো যখন সুলভ হয়ে পাকার উপযোগী হয় তখন গ্রামের ছেলে– মেয়ে, কিশোর–কিশোরী, তরুন তরুনি ভোর হতে না হতেই গাছ তলায় খেজুর সংগ্রহ করতো।

কৃষি বিদদেও মতে, খেজুর এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়। অনেক বছর পূর্বে থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে জলবায়ু রয়েছে তা খেজুর চাষের জন্য অনেকটাই উপযোগী। কিন্তু বিদেশি খেজুর চাষের মত দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছকে যদি বাংলার মাটিতে টিকিয়ে রাখা যায় তাহলে খেজুরের রস, গুড় এবং খেজুর ঘাটতি থাকবে না বলে মনে করেন সচেতন ব্যাক্তিবর্গ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button