ধর্ম ও জীবন

‘হাজরে আসওয়াদ’ যেসব হাজির জন্য কেয়ামতের দিন কথা বলবে

#ঝিনাইদহের চোখঃ

হজ ইসলামের অন্যতম রোকন। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। আর বছরজুড়ে ওমরাহ পালন ব্যস্ত থাকে মুসলিম উম্মাহ। হজ-ওমরায় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ, চুম্বন কিংবা ইশারা করতে হয়।

কাবা শরিফের এ জেয়ারতে মুমিন মুসলমান অবশ্যই হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ, চুম্বন কিংবা ইশারা করেই তাওয়াফ শুরু করেন।

হজ পালনকারীদের মধ্যে যারা ইখলাসের সঙ্গে কাবা শরিফ তাওয়াফে হাজরে আসওয়াদকে স্পর্শ, চুম্বন কিংবা ইশারা করেন, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য ফজিলত। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় হাজরে আসওয়াদকে ওঠাবেন যে-

– তার দুটি চোখ থাকবে। যা দিয়ে সে দেখবে।
– তার একটি জবান থাকবে। যা দিয়ে সে কথা বলবে।
আর ওই ব্যক্তির জন্য (হাজার আসওয়াদ) সাক্ষ্য দেবে-
– যে ব্যক্তি একনিষ্ঠ অন্তরে তাকে (হাজরে আসওয়াদ) স্পর্শ করবে।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, দারেমি ও মিশকাত)

হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, ‘হাজরে আসওয়াদ’ প্রথমে দুধ বা বরফের চেয়েও সাদা ও মসৃণ অবস্থায় জান্নাত থেকে অবতীর্ণ করা হয়। অতঃপর আদম সন্তানের পাপে তা কলো হয়ে যায়।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

মানুষের গোনাহ গ্রহণে কালো হয়ে যাওয়া পাথরের কোনো গুণ নয় কিংবা পাথরের কোনো ক্ষমতাও নেই। তবে বিশ্বনবি এ পাথর স্পর্শ করেছেন, চুমু দিয়েছেন। তাই এ তাওয়াফের সময় কিংবা অন্য সময় এ পাথরে স্পর্শ বা চুমু খাওয়া বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি সুন্নত।

সুতরাং যারাই এ পাথরে সুন্নাতের অনুসরণে একনিষ্ঠ অন্তরে স্পর্শ কিংবা চুমু খাবে, কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর দরবারে সেসব স্পর্শ কিংবা চুম্বনকারীর জন্য সাক্ষ্য দেবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ পালনকারীকের হজের যাবতীয় আহকাম পালন করার এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button