মাঠে-ময়দানে

মধুহাটীর সেই কিশোরীরাই দুর্দান্ত খেলে সেমিতে উঠলো…

#এলিস হক, ঝিনাইদহের চোখঃ

বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্র্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় দিনের অপর প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। লড়েছিল সেই ৭ জন খুদে কিশোরী ফুটবল দল তথা মধুহাটী ইউপির মধুহাটী সপ্রাবি দল টাইব্রেকার জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে।

আজ এদিন ৭ খেলোয়াড় নয়, পুরো ১১ জন কিশোরী খেলোয়াড়রা খেলে প্রতিপক্ষ হরিশংকরপুর ইউপির পোড়াবাকড়ী সপ্রাবি দলকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়েছে।

টিম ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলাম দারুণ খুশি। দলের এই অভাবনীয় সাফল্যকে তিনি দলের প্রতিটি খেলোয়াড়দের খুব আদর করেন। ওরা সবাই এই জনপ্রিয় শিক্ষককে জড়িয়ে ধরলো অনেকক্ষণ ধরে!

খেলার নির্ধারিত সময়ে কোনো দলই গোলের সন্ধান করতে না পারায় টাইব্রেকার কিক গড়িয়ে যায়। সেখানেও সাফল্য খুঁজে পেলো সেই মধুহাটী কিশোরীরা।

খেলা শেষ হলে তারা হৈচৈ করতে করতে গাড়িতে চড়ে বাড়িতে ফিরে যায়। এমন খুশির দিনে মধুহাটীর প্রতিটি খেলোয়াড়েরা বাড়িতে এসে তাদের অভিভাবকদের বলবে-মা আজ জিতছি….! এমনি হাজারো গল্প শোনাবে তারা।

ওদিকে পোড়াবাকড়ী কিশোরী ফুটবল দল আগের খেলায় গান্না ইউপির রঘুনাথপুর সপ্রাবিকে ৫-০ গোলে হারালেও এদিনের খেলোয়াড়েরা ছিলেন সম্পূর্ণ নিষ্প্রভ। চাহিদা মোতাবেক ভালো ক্রীড়ানৈপূণ্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। কেমন যেনো ঝিমিয়ে পড়েছিল…প্রতিযোগিতায় প্রথম হ্যাটট্রিকওয়ালী ঋতু খাতুন আজকে ভালো খেলেও দলকে সহায়তা করতে পারেননি। টাইব্রেকারে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট হতে বিদায় নিলো শক্তিশালী পোড়াবাকড়ী তথা হরিশংকরপুর ইউপির বাহিনী দল।

মধুহাটী : স্বর্ণা গোলকিপার, শিলা, ফাহিমা, সাহারা, সাদিয়া, খুশি, উর্মি, শিউলী, সুরাইয়া, রিয়া ও ফারজানা।

পোড়াবাকড়ী : সুরাইয়া গোলকিপার, স্মৃতি, নুপুর, সোহাগী, আন্না, জিম, দিথী, জিনিয়া, তানজিলা, ঋতু খাতুন ও মিলা।

রেফারি : জামাল হোসেন। সহকারী রেফারি : রবিউল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন ও শাহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

এলিস হক
ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button