#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় চাষি ও ব্যবসায়ীদের ঘরে মজুত বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিরমুখে পড়েছে চাষি ও ব্যবসায়ীরা। পচা পেঁয়াজ তারা নদী, খাল ও ডোবায় ফেলে দিচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দেশের মধ্যে অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উত্পাদনকারী এলাকা হচ্ছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার এ উপজেলায় ৬ হাজার ১২৫ হেক্টরে পেঁয়াজের চাষ হয়। ফলন হয় বাম্পার। পেঁয়াজ উত্পাদন হয় ১ লাখ ১০ হাজার টন। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর দাম কম ছিল। প্রতিমণ ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। চাষি ও ব্যবসায়ীরা টিনের ঘরে বাঁশের চরাটের মাচং তৈরি করে তার উপর পেঁয়াজ মজুত করে রাখে। অনেক আগে থেকেই চাষি ও ব্যবসায়ীরা এভাবে পেঁয়াজ মজুত করে থাকে। আস্তে আস্তে বিক্রি করে। আবার নতুন পেঁয়াজ উঠার আগ পর্যন্ত পেঁয়াজ ভালো থাকে।
চাষিরা জানায়, এবার পেঁয়াজ ওঠার আগ মুহূর্তে বৃষ্টি হয়। অনেক পেঁয়াজ খেতে পানি জমে যায়। পেঁয়াজে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। বড়ো বড়ো সাইজের হাইব্রিড পেঁয়াজ বেশি পচে যাচ্ছে। এ পেঁয়াজ বাছাই করে ফেলে দিতে হচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের চাষি আকমল হোসেন জানান, এবার সাত বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছিলেন। ৫০০ মণ পেঁয়াজ উত্পাদন হয়। মৌসুমের প্রথমে কিছু পেঁয়াজ বিক্রি করেন। বাকি পেঁয়াজ ঘরের মাচায়ং-এ মজুত করে রাখেন। এর মধ্যে তার ২০০ মণ পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়েছে। এ পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়েছে।
মনোহরপুর গ্রামের চাষি মো. নুরুজ্জামান পাপ্পু জানান, তিনি ২০০ মণ পেঁয়াজ মাচাং-এ মজুত রেখেছেন। এর মধ্যে ৫০ মণ পচে নষ্ট হয়েছে। বাছাই করে পচা পেঁয়াজ বাড়ির পাশে খালে ফেলে দিয়েছেন।
বাদাপাড়া গ্রামের আব্দুল ওহাব বলেন, সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে ৫০০ মণ পেঁয়াজ হয়েছিল। ১০০ মণ পচে নষ্ট হয়েছে। ব্যবসায়ী খালেকুজ্জামান জানান, তার মজুত ২০০ মণ পেঁয়াজের মধ্যে ৫০ মণ পচে নষ্ট হয়েছে। পচা পেঁয়াজ নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিসার সনজয় কুমার কুন্ডু বলেন, যেসব পেঁয়াজের জমিতে পানি জমেছিল সেসব জমির পেঁয়াজে অতিরিক্ত জলীয় অংশ ছিল। এসব পেঁয়াজ মজুত করায় পচে যাচ্ছে।