ঝিনাইদহের একতা উন্নয়ন সংগঠন
#ঝিনাইদহের চোখঃ
২০১৮ সালে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন এই সংগঠনের প্রধান নির্বাহী সুমন পারভেজ।
জন্ম তার ঝিনাইদহ জেলায়, কালীচরণপুর ইউনিয়নের বড় মান্দারবাড়িয়া গ্রামে। আইনুদ্দিন জোয়ার্দার ও রিজিয়া বেগম সুমনের জন্মের তিন মাসের মধ্যেই বুঝলেন, তাদের সন্তান চোখে দেখে না।
অন্যদের মতো চঞ্চল সে নয়, মা প্রথম টের পেলেন। পরে চিকিৎসকরাও তাই জানালেন। অনেক ডাক্তার-কবিরাজ দেখানো হলো। তারা কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের কথা বললেন। একটি চোখে লেন্স আরেক চোখে কর্নিয়া বসল সুমনের পাঁচ বছর বয়সে। সেই থেকে ৩০ ভাগ আলো নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি।
খুলনার দৃষ্টি-প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্তদের বিশেষায়িত বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু হলো তার। তবে একা একা সেখানে থাকতে পারেন না। ফলে অনেক যুদ্ধ করে আবার ঝিনাইদহের একটি সাধারণ স্কুলে ভর্তি করা হলো। এসএসসি পাস করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একীভূত শিক্ষাকার্যক্রমের অধীনে উচ্চতর লেখাপড়া করলেন। পড়লেন ফরিদপুর পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে, এগ্রিকালচারে (কৃষি) চার বছরের ডিপ্লোমা করেছেন। তখনই আসলে কৃষির গুরুত্ব বুঝেছেন সুমন। মিশে জেনেছেন, তার মতো আরও হাজার হাজার গরিবের শারীরিক, মানসিক প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত ছেলেমেয়ের বেঁচে থাকার, আয়ের, সমাজে টেকার এবং মানুষের সঙ্গে মেশার উপায় হতে পারে কৃষিকাজ এবং কৃষির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্যান্য রোজগার। কৃষি বিষয়ে পড়েছেন বলে কীভাবে মাটিতে পড়ে থাকা উপকরণগুলো মিশিয়ে প্রাকৃতিক জৈব সার তৈরি করা যায়, জানেন। বাড়ির আশপাশে বা পড়ে থাকা এক টুকরো জমিতে কীভাবে ফসল ফলানো যায় বোঝেন, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালাও তার শেখা। ফলে সেই বিদ্যাকেই কাজে লাগাতে নামলেন তিনি।
এলাকার মানুষদের বোঝালেন, তার বয়সের তরুণদের একসঙ্গে করলেন ঘুরে ঘুরে। সবাই মিলে ২০১৪ সালের ৩০ জন বন্ধু ও সমমনায় তৈরি হলো ‘একতা উন্নয়ন সংগঠন’। একতাই হলো তাদের ‘বল’। তবে রাজধানীতে, পরিবারেই যেখানে প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষগুলো অপাঙ্ক্তেয়, সেখানে জেলা শহর ঝিনাইদহে তো তাদের মানুষই মনে করেন না অন্যরা। পরিচয় দিতে না পারলে বাঁচেন পরিবারের সদস্যরাই। ফলে তাদের জন্য কিছু করতে নামতে অনেক সময় লাগল সুমনদের। তারা বাড়ি বাড়ি; এলাকা এলাকা ঘুরে মানুষকে বোঝালেন; মা-বাবাকে সচেতন করলেন। ফলে কাজ হলো বেশ। আগেই ৩০ জনে ‘সঞ্চয় প্রকল্প’ শুরু করলেন। প্রতি মাসে ১২০ টাকা করে দেন। সেই টাকায় আয় বাড়ানো এবং জীবন কাটে এমন প্রকল্পে বিনিয়োগের শুরু। সামান্য বা সমান লাভে টাকা ফেরত আসে। অন্য খাতে, সমাজের উন্নয়নে, প্রতিবন্ধিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যয় হয়।
প্রথম প্রকল্প ‘সেলাই প্রশিক্ষণ’। জন্মের প্রথম দিনই তিনজনকে দিয়ে উদ্বোধন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নানা ধরনের সেলাই শেখালেন। অসহায় সেই নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়ালেন। তাদের সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া হলো। এখন তাদের ৩০ জনের ব্যাচ আছে, এক মাসে ৬০০ টাকা কোর্স ফি। এরপরের প্রকল্প ‘দেশি জাতের ছাগল পালন’। জন্ম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একজন সদস্যকে তারা পাঁচ হাজার টাকায় ছাগল কিনে দিলেন। তিনি এক বছর পর সেটি বিক্রি করে দুই হাজার টাকা বেশি দিলেন একতাকে। নিজে পেলেন বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০ হাজার। এই টাকাই ঘুরে ঘুরে বাড়ছে। সেই প্রকল্পে এখন আছেন ১৫ জন। সেই টাকাতে প্রকল্পগুলো বাড়িয়েছেন একতার বন্ধুরা। জন্মের ঠিক এক বছর পর সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নে শুরু হলো তাদের ‘সবজি চাষ’ প্রকল্প। চলতে পারেন না, গড়িয়ে চলেন; হাতগুলো খুব ছোট বা কোনো কাজে লাগে নাÑ এমন পাঁচজন স্কুল কী কলেজে পড়া ছেলেকে নিয়ে শুরু হলো এটি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এইড ফাউন্ডেশন তাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সুমনের পাশে দাঁড়াল।
তাদের জীবিকা প্রকল্পটি তার সাহায্যে ছড়িয়ে গেল। তারা সার, বীজ, জমিতে ব্যবহার করার জন্য নানা কৃষিযন্ত্রসহ মোট পাঁচ হাজার টাকা করে দিলেন মানুষগুলোকে। সুমন শিখিয়ে দিলেন কীভাবে জৈব সার তৈরি করতে হয়, কীভাবে ফসলের যতœ নিতে হয়, ফলাতে হয়। সেই হলো শুরু। এখন এই অন্যরকম কৃষি উদ্যোগ ছড়িয়েছে পুরো জেলার অনেক গ্রামে। পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়িয়াকান্দি, মধুপুর, বয়রাতলা; কালীচরণপুর ইউনিয়নের বড় মান্দারবাড়িয়া গ্রাম; পৌরসভার দরি গোবিন্দপুর, ছোট কামারকু-ু, খাজেরা, মথুরাপুর এলাকা; পাগলা কানাই ইউনিয়নের রাজাপুর, বেড়বাড়ি, বালিয়াকান্দিতে ছড়িয়েছে কৃষির মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, লাভও খুব নেই; ‘এইড’ নেই। তবে ‘একতা’ আছে। তাদের মাধ্যমেই বিকাশ ঘটেছে গ্রামে গ্রামে। এটি হয়েছে তাদের ‘আদর্শ’ প্রকল্প।
৪০ জন কৃষক আছেন; মোট ২০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছেন। কারও পরিবার সমাজে নামকরা, কারও নামহীন। তবে তারা সবাই ভালো আছেন, কাজ করছেন। প্রতি মাসে তারা ১৫ থেকে ২০ মণ পুঁইশাক, লালশাক, টমেটো, শসা, লাউয়ের মতো সারা বছরের বাঙালি সবজি চাষ করেন। সেগুলো বিক্রি হয় বয়রাতলা, মধুপুরসহ বিভিন্ন বাজারে। এক হাজার মানুষের এক বিশাল পরিবার যুক্ত কাজে। কৃষকদের মধ্যে যেমন স্কুলের ছাত্রছাত্রী আছেন, তেমনি ঝিনাইদহ সিটি কলেজের দুই ছাত্র এমনকি ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় কুষ্টিয়ারও ছাত্রছাত্রী আছেন। তারা তো বাসে চড়ে ঝিনাইদহ থেকে চলে যান কুষ্টিয়ায়।
অনেক সাফল্যের এই গল্প বলতে বলতে সুমনের চোখ ঝাপসা হয়ে এলোÑ ‘আমাদের কৃষকদের একজন ডলি। হাতগুলো খুব ছোট জন্ম থেকেই। তবে সে হারেনি। আলিয়া মাদ্রাসায় এখন অনার্সে পড়ে। মেয়েটিকে কোনো একটি কাজ দিয়ে তো তার জীবন ও মনটি ভালো রাখতে হবে তাই সবজি চাষ শেখালাম। দুই কাঠা থেকে এখন তার চাষের জমি ১০ থেকে ১২ কাঠা। অনেক দিন অন্য কাজের ব্যস্ততায় খবর নেওয়া হয় না। মেয়েটি ভালো আছে। আমরা কিছু আগে তার বিয়ের ঘটকালিও করেছি।’ সাজেদের কথাও হঠাৎ মনে পড়ে গেল তারÑ ‘সাজেদুর রহমান ছোট কামারকু-ুতে থাকে। নবম কী দশম শ্রেণির পর আর পড়তে পারেনি। প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত মানুষদের লেখাপড়া করা তো খুব কঠিন। মানসিক প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত এই ছেলেটির একমাত্র শখ সবুজ। গাছ দেখলেই হলো, সবুজ পেলেই তাকে ঠেকানো যায় না। নিজেই মাটি কোপাতে থাকে, সারাক্ষণ কাজ করে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আমরা তার মা-বাবাকে বুঝিয়ে তিন শতক জায়গায় ‘সবজি চাষ’ শেখালাম। লালশাক, মুলোর মতো শীতকালীন ফসল দিয়ে শুরু হলো। পরে অন্যদের মতো অন্য ফসলে অন্য সময়ে গিয়েছে সে। মাঝে মাঝে এলোমেলো হয়ে গেলেও বোঝা যায় না, কেননা প্রিয় সবুজের সঙ্গে আছে ও। এখন সে শুনেছি আট থেকে ১০ কাঠা জমিতে ফসলের চাষ করে। মাসে পাঁচ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়।’
শুধু তাদের আয় ও ভালো থাকার উপায় দেখিয়ে, শিখিয়ে দিয়ে চলে যান না তারা। ফেইসবুকের মতো অনলাইন গণমাধ্যম এবং সরাসরি সেই এলাকার কৃষি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাহায্য নিয়ে তাদের চাষের নানা সমস্যার সমাধান করেন। তাদের জন্য কম-বেশি কর্মশালাও করেন ‘একতা উন্নয়ন সংগঠন’র মর্ডান মোড়ের অফিসে। এই সংগঠন ও সুমন পারভেজদের সাফল্য আসলে এই, তাদের প্রচেষ্টাও ভিন্ন রকমের। সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত শ্রেণিদের একটি শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা কারণে অসুস্থ এবং অসহায়দের নিজেদের পায়ে দাঁড় করানো। আরও অনেক কাজ আছে তাদের।
সরকারি নিয়ম অনুসারে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে পারলেও সেগুলোতে আছে নানা সমস্যা। কোথাও বাক-প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্তদের জন্য ইশারা ভাষার শিক্ষক নেই, কোথাও অন্ধত্বের শিকারদের জন্য ব্রেইলের উপকরণ বা বইগুলোও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। কোথাও হুইলচেয়ার নেই চলার ক্ষমতাহীন মানুষদের। তারা এরপর থেকে সব স্কুলেও পড়তে পারেন না। যেতে হয় আলাদা বিদ্যালয়ে। সেগুলোও খুব কম। ফলে তারা জেলার বিভিন্ন স্কুলগুলোতে নিয়মিত সভার আয়োজন করে চলেছেন। প্রথমে শিক্ষক, পরে অভিভাবক এবং সবশেষে ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন বেসরকারি স্কুলে। সরকারি স্কুলে তারা যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকের কাছে। তিন মাস পরপর তাদের এই সভাগুলো বিভিন্ন স্কুলে করতে হচ্ছে। সবাইকেই বলছেন, আপনার সন্তানের মতো প্রতিবন্ধিতার শিকার ছেলেমেয়েদেরও এই ভালো স্কুলগুলোতে, অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে পড়ালেখা করার অধিকার আছে। সে ইচ্ছাই মনে পুষে রাখেন মা-বাবা। সেই সুযোগ করে দিন। ফলে ২০১৬ সালের পর থেকে আজকে পর্যন্ত ঝিনাইদহের ১০টি বিদ্যালয়ে এই অন্য রকমের ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন আরও সব স্কুলে তাদের ভর্তি করাতে। আড়িয়াকান্দি, উদয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াজেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো শিক্ষায়তনে পড়ছেন এই ছাত্রছাত্রীরা। তাদের ১০টি ছাত্রছাত্রী এবার এসএসসি দিয়েছেন এবং অন্যদের সঙ্গে থেকে সাতজনই পাস করেছেন। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেন তারা বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস), যুব উন্নয়ন ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সাহায্যে। একতার অফিসের এই প্রশিক্ষণে গুগল টকব্যাগ বেশ কাজে আসছে বাক-প্রতিবন্ধীদের, তারা ডজ সফটওয়্যারও ব্যবহার করছেন, কিন্তু এখনো দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো কি-বোর্ড হয়নি বলে বেশ বিপদে আছেন।
২০১৬ সালে ৩০ জনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল, সাতটি ব্যাচ পাস করেছে। কারিগরি বোর্ডের শিক্ষাক্রমে তাদের মতো মানুষদের এক হাজার টাকা কোর্সে, অন্যদের দেড় হাজার টাকায় তারা কম্পিউটারে দক্ষ করেন। এও চান, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর হোক, মিলে-মিশে থাকুন।
আছে তাদের ‘হাঁস-মুরগি একত্রে পালন’। পুকুরের খাবার ও বাড়ির ফেলে দেওয়া খাদ্য, এটা-সেটা খেয়ে বাঁচে ওরা। খুব আশা নিয়ে এই লাভজনক প্রকল্পটি গত বছরের মার্চে শুরু করলেও এখন তারা লসে আছেন। ১০-১২ জনের সেই সদস্যরা কমে গেছেন। অন্য সমিতির কিস্তি দিতে না পেরে গ্রামের গরিবরা তাদের সবচেয়ে দামি এই প্রাণীগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন। অথচ সমান সমান টাকা ফেরত এলেই একতা খুশি। অনেকে বিদেশি প্রাণী (যেমন টার্কি) পালতে বললেও সুমনদের সংগঠন রাজি হয়নি।
গ্রামের মেয়েরা স্বাস্থ্যসচেতন নন। একতার সঞ্চয় প্রকল্প থেকে ২০১৫ থেকে গেল বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মেয়েকে স্বাস্থ্যকর স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে দেওয়া হয়েছে। এই নারীরা এতিমখানার বা গরিবের মেয়ে। আরও আছে তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ‘ভালো, মন্দ স্পর্শ’। কোন ধরনের স্পর্শ বা আচরণ মন্দ আর কোনগুলো ভালো, তারা শেখান।
তারা তখন তাদের নাশতার খরচও দেন। ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছেন। শুরুতে এইড ফাউন্ডেশনের সাহায্যও ছিল। এখন নিজেরাই করছেন। এ বছর ৪০টি স্কুলে যাবেন। নানাভাবে সঞ্চয়ে, আয় প্রকল্পে, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পৌরসভা, জেলা প্রশাসকের অনুদানে, সরকারি জরিপ বা অন্যান্য কাজে অংশ নিয়ে তারা তাদের সামর্থ্য বাড়াচ্ছেন। সেই টাকা ভাগ্যদোষে হেরে যাওয়া মানুষের জন্য খরচ করছেন।
তাদের সংস্থার ভেতরে একটি ইশারা স্কুল চালু করেছেন। ২০১৩ সালে সেটি এইড ফাউন্ডেশনের ছিল। এখন তাতে তাদের পাঁচ থেকে সাত সদস্য বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের ইশারা ভাষা শেখাচ্ছেন। তারা এই ধরনের মানুষদের মামলায়ও সাহায্য করছেন। কালীগঞ্জের একটি বিচারাধীন মামলায় আছেন। এমন মেয়েদের বিয়েতেও সাহায্য করছেন। ‘আঁধার থেকে আলো’ নামে সুমনের লেখা একটি পথনাটক জেলার ১০টি জায়গায় তারা শো করেছেন। ভবিষ্যতে সবাই মিলে একটি কম্পিউটার পার্ক করতে চান। তাতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্তদের সাহায্য করবে এমনসব সফটওয়্যার তৈরি করবেন।
দেশ রুপান্তর