#ঝিনাইদহের চোখঃ
কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর লালচাঁদ হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানা এবং ঝিনাইদহ শৈলকুপার গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সজীব। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন-মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানার সহোদর সোহেল আহম্মেদ, চৌড়হাস কলোনীর বাসিন্দা কাইয়ুম বিহারীর ছেলে সোহেল রানা, নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাহিন উদ্দিন, মঞ্জিল হোসেনের ছেলে জনি, আমিরুল ইসলাম মিস্ত্রির ছেলে রিপন ওরফে মেঘা এবং নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুমিন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় নুর ইসলামের পূত্র লালচাঁদকে (১১) আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি ও রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত লালচাঁদের পিতা বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আটজন আসামির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
রায়ে বাদী পক্ষ ও তার আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কড়া পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের কৌশুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, লালচাঁদ হত্যায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতএ রায় ঘোষণা করেন ।মামলায় আসামিপক্ষের কৌশুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান।