এক নজরে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ
#ঝিনাইদহের চোখঃ
আগামী ১ অfগস্ট থেকে এজবাস্টনে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া অ্যাসেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়েই শুরু হবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ৷ ভারত তাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু করবে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে৷ বহু আলোচিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সম্পর্কে খুঁটিনাটি কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো…
# ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ প্রকাশিত আইসিসি টেস্ট ব়্যাংকিংয় অনুয়ায়ী টেস্ট খেলিয়ে ১২টি দেশের মধ্যে প্রথম ৯টি দল অংশ নিচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে৷ সেই মতো ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ অংশ নেবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে৷ জিম্বাবোয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড সুযোগ পাচ্ছে না এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার৷
# প্রতিটি দেশ পারস্পরিক চুক্তিতে যে কোনও ছ’টি দলের বিরুদ্ধে ৬টি সিরিজ খেলবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে৷ তিনটি ম্যাচ খেলা হবে নিজেদের মাঠে৷ বাকি তিনটি অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে হবে সব দলকেই৷
# ২ থেকে ৫টি টেস্টের সিরিজ খেলা যাবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে৷ প্রতিটি সিরিজের জন্য সর্বাধিক ১২০ পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারবে দলগুলি৷ পয়েন্ট ভাগ হবে সিরিজের ম্যাচ সংখ্যার নিরিখে৷ কমপক্ষে দু’টি টেস্টের সিরিজ হলে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য ৬০ পয়েন্ট করে পাওয়া যাবে৷ ড্র হলে দু’দল ২০ পয়েন্ট করে পাবে৷ ম্যাচ টাই হলে ৩০ পয়েন্ট করে ঘরে তুলবে প্রতিপক্ষ দু’দল৷ হারলে কোনও পয়েন্ট পাওয়া যাবে না। # পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হলে প্রতি টেস্টে জয়ের জন্য ২৪ পয়েন্ট করে পাওয়া যাবে৷ ড্র হলে ৮ পয়েন্ট এবং টাই হলে ১২ পয়েন্ট করে বরাদ্দ থাকছে দু’দলের জন্য৷ ৩ ম্যাচের সিরিজ হলে জয়ের জন্য ৪০, ড্র হলে ১৩.৩ এবং টাই হলে ২০ পয়েন্ট পাওয়া যাবে৷ ৪ ম্যাচের সিরিজ হলে জিতলে ৩০, ড্র হলে ১০ এবং টাই হলে ১৫ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকছে৷
# ১ অগস্ট, ২০১৯ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত দু’বছরের সার্কলে খেলা হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলি৷ লিগের শেষে প্রথম দু’টি স্থানে থাকা দলকে নিয়ে ২০২১’এর জুন মাসে ইংল্যান্ডের লর্ডসে খেলা হবে ফাইনাল ম্যাচ৷
# ফাইনালের আগে ৯টি দেশ ২৭টি পৃথক সিরিজে মোট ৭১টি টেস্ট খেলবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে৷
# ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত ৬টি সিরিজ খেলবে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২টি অ্যাওয়ে টেস্ট), দক্ষিণ আফ্রিকা (৩টি হোম টেস্ট), বাংলাদেশ (২টি হোম টেস্ট), নিউজিল্যান্ড (২টি অ্যাওয়ে টেস্ট), অস্ট্রেলিয়া (৪টি অ্যাওয়ে টেস্ট) ও ইংল্যান্ডের (৫টি হোম টেস্ট) বিরুদ্ধে৷