ঝিনাইদহের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
#ঝিনাইদহের চোখঃ
বিয়ের সাতমাস পর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যশোর সদর উপজেলার নওদাগা গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খুশি বেগম (১৮) ওই গ্রামের বিদেশফেরত ফারুক হোসেনের স্ত্রী এবং ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের দাউদ হোসেনের মেয়ে।
খুশির চাচা জামাল উদ্দিন জানান, নওদাগা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফারুক হোসেন সিঙ্গাপুর থাকার পর দেশে ফিরে এসে আত্মীয়তার সূত্র ধরে খুশির সাথে প্রেম করে। সাত মাস আগে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। খুশির পরিবার পরবর্তীতে ফারুকের দুই স্ত্রী এবং তিন সন্তান আছে জানতে পেরে ফারুককে তালাক দেয়ার কথা বলে। ফারুক হোসেন খুশিকে তালাক না দিয়ে উল্টো শ্বশুর দাউদ হোসেন, চাচাশ্বশুর জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে মিথ্যা ডাকাতি মামলা দেয়। পুলিশ দিয়ে বাবা চাচাকে হয়রানি করতে থাকলে খুশি বাধ্য হয়ে তার স্বামীর বাড়িতে থেকে যায়। এক পর্যায়ে তার পিতার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে বাধ্য করে ফারুক।
খুশি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এ ধরণের সংবাদ পেয়ে আজ দুপুরে ফারুক হোসেনের বাড়িতে হাজির হয় পিতার বাড়ির লোকজন। এসময় ফারুকসহ তার স্ত্রী ও সন্তানরা সবাই পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জামাল উদ্দিন আরো জানান, ফারুক এবং তার প্রথম স্ত্রী শারমিন মিলে খুশিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও পুলিশ পরির্দশক (অপারেশন) সেখ তাসনিম আলম ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
সন্ধ্যার দিকে যশোর সদরের সাজিয়ালি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুকুমার কুন্ডু লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন।
সুকুমার কুন্ডু জানান, গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে গেলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সাগর জানান, নওদাগা গ্রামের ফারুকের স্ত্রী খুশি বেগমের মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। তবে কি ভাবে মারা গেছে বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্বামী ফারুক হোসেন, সতীন শারমিনকে পাওয়া যায়নি।