হরিনাকুন্ডু

দেড় হাজার গরু বিক্রি হবে হরিণাকুন্ডুর কুলবাড়ীয়া থেকে

#এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ

তারা পেশায় কেউ খামারি নয়। তবে গরু পালেন সবাই। পশু কুরবানির চাহিদা মেটায়। এ কারণে সবার কাছে গরুর গ্রাম বলেই পরিচিত।

এই গ্রামের নাম কুলবাড়ীয়া। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডেু অবস্থিত। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ২ থেকে ৮টি পর্যন্ত গরু আছে। এবার ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক যাবে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। তাছাড়া জেলায় বিক্রি হবে আরো ৩০০ গরু। গড়ে দেড় হাজার গরু এ গ্রাম থেকে বিক্রি হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুলবাড়ী গ্রাম ঢুকতেই চোখে পড়ে শুধু গরু আর গরু। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু গ্রামটিতে ভরপুর।

কুলবাড়ীয়া মাঠ পাড়ার গরু পালনকারী আব্দুল খালেক মণ্ডল জানান, তাদের গ্রামে ৫০০ পরিবার বিভিন্ন জাতের গরু পালছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের হাটে গরু বিক্রি করা হবে।

বাজার পাড়ার শামছুল আলী জানান, তার আছে ৬টি গরু। হরিয়ানা, নেপালি ও ক্রসবিড জাতের গরু আছে। দাম ভালো থাকলে এ বছর ৬টি গরু ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে।

কুলবাড়ীয়া মধ্যপাড়ার পল্লী চিকিৎসক নরেন্দ্র নাথ জানান, তার আছে পাঁচটি গরু। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি গরু পরিচর্যা করে থাকেন। সম্পূর্ণ দেশি খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করছেন।

মাঠপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ছয় মাস আগে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। গোখাদ্যে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন দেড় লাখ টাকা দাম হয়েছে। তবে ঢাকায় নিয়ে গেলে ২ লাখ টাকা বিক্রি হবে।

গরু পালন করে নিজের ভাগ্য বদল করেছেন কুলবাড়ীয়া গ্রামের শামছুল। এ আয় থেকে অনেক জমি কিনেছেন। নতুন ঘরবাড়ি করেছেন। তার মতো আরো অনেকেরে ভাগ্য বদল হয়েছে।

ফলসি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, এবার জেলায় এত পরিমাণ গরু পালন আর কোথাও হয়নি। কুলবাড়ীয়া গ্রামে জেলার সর্বাধিক গরু পালনকারী করা হয়েছে। তাই এই গ্রামকে গরুর গ্রাম হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

ঝিনাইদহ জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ অধিক লাভজনক। কুলবাড়ীয়া গ্রামের কৃষকরা এই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছে। এভাবে প্রতি বছর কোরবানির গরু পালন করলে কুলবাড়ীয়া গ্রামের প্রতিটি কৃষক আর্থিকভাবে বিরাট সফলতা লাভ করতে সক্ষম হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button