ইন্সপেকশন বাংলো থেকে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা’র নামকরণ
#মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারটি ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে। তাছাড়া ডাকবাংলা নামটি গ্রামের সাধারন মানুষের কাছ থেকেই এসেছে। বাজারটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, তা সঠিক ভাবে জানা জায়নি।
তবে লোকমুখে জানা গেছে, বাজারটি অতি পুরাতন।
কারণ হিসাবে তারা জানান, ঝিনাইদহ শহরের সাথে যোগাযোগ রয়েছে বাজারের প্রধান সড়কটি। আবার ঝিনাইদহের এই সড়কটি বর্তমান ডাকবাংলা বাজারের উপর দিয়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মুজিবনগর ভায়া পলাশির প্রান্তরের সাথে যোগাযোগ করেছে।
তবে বাজারটি পূর্বে সাধুহাটি তিন রাস্তার মোড়ে ছিল। বাজারের নিকটবর্তি নদীর পাড়ে ইরেজদের নীলকূঠি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই কারনে ইংরেজ শাসকগণও স্থলপথ হিসাবে এটা ব্যবহার করতেন। ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটলে এইঞ্চল পাকিস্থানীরা শাসন করতেন।
১৯৪১ সালে এই অঞ্চলকে দেখভালের জন্য পাকিস্থানী শাসকগোষ্ঠি বর্তমান সাধুহাটির বালিকা বিদ্যালয়ের অ-দূর নিকটে ইন্সপেকশন বাংলো তৈরি করেন। আর এই ইন্সপেকশন বাংলো কে গ্রামের সাধারন লোকজন ডাকবংলো বা ডাকবাংলা বলে জানতেন।
ধারনা করা হচ্ছে, দূরের লোকজন বাজারটি চিহ্নিত করতে ডাকবাংলোর ঠিকানা ব্যবহার করতেন।
তবে বাজারটি সাধুহাটির মোড় থেকে বর্তমান স্থানে আসার পর বাজারটি ডাকবাংলা নামে পরিচিতি হয়। সেই থেকেই বাজারটি ডাকবাংলা নামে পরিচিত। বাজারটি সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ন এবং একটি অংশ সাগান্না ইউনিয়নে রয়েছে। ডাকবাংলঅ বাজারটি বর্তমানে রাইসমিলের জন্য বিখ্যাত।