কালীগঞ্জ

কালীগঞ্জ বারোবাজারে পর্যটন কেন্দ্র এবং প্রত্মতাত্বিক জাদুঘর স্থাপনের দাবী

#মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র ও প্রতœতাত্তিক জাদুঘর স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফেসবুক ভিত্তিক “বারোবাজারের প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষা আন্দোলন” নামের একটি গ্রুপ।

শুক্রবার সকাল ১১ টায় বারবাজার প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষা আন্দোলন কমিটির আয়োজনে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।

সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু।
সোহেল আহমেদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, সাধারন সম্পাদক সাবজাল হোসেন, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাক, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলহাজ¦ সহিদুল ইসলাম, মাষ্টার আব্দুর রশিদ, মাষ্টার রবিউল ইসলাম গ্রুপের এডমিন সনজিত কুমার প্রমূখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা ও বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টু, দৈনিক যায়যায়দিন প্রত্রিকা তারেক মাহমুদ, দৈনিক মানব কন্ঠের ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান আলী বিপাশ, জয়য়াত্রা টেলিভিশনের ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি হাবিব ওসমান, দৈনিক আমাদের সময় প্রত্রিকার মানিক ঘোষ, যুগান্তরের শাহারিয়ার আলম সোহাগ, কল্যানের আরিফ মোল্ল্যা, ভোরের কাগজের বেলাল হুসাইন বিজয়, একাত্তর টেলিভিশনের মিশন আলী, নবচিত্র পত্রিকার শাহিনুর রহমান পিন্টু, বারোবাজার গন গ্রন্থাগারের সভাপতি বার আউলিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর হুসাইন, সদস্য জিল্লুর রহমান সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক সুলতানী আমলের ঐতিহাসিক বৈরাট নগর আজকের ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বারোবাজারে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্য ও নানা প্রতœতাত্বিক নিদর্শন। যে মহা মুল্যবান সম্পদগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে।

বারোবাজারের ঐতিহ্যরক্ষা এবং সুলতানী আমল থেকে বর্তমান সময়কার বারোবাজার সম্পর্কে সাংবাদিকদের তথভিত্তিক নানা ডকুমেন্টরী উপস্থান করা হয়। ঐতিহ্যবাহী বারোবাজারের সুলতানী আমলে এ এলাকায় ১২ জন মুসলিম শাসক ছিলেন। যাদের নাম প্রাচীন শিলালিপিতে পাওয়া গেছে। তারা ধর্ম প্রচারসহ এ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। এ এলাকায় সুলতানেরা অসংখ্য মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন বড় বড় দীঘি খনন করেছিলেন। এখানে রয়েছে গাজী কালু চম্পাবতী, সুফি সাধক ও সুলতানদের মাজার।

কালের গহ্বরে আজ অনেক কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিন্ত এখনও রয়েছে প্রচুর প্রত্মতাত্তিক নিদর্শন। এগুলো সংরক্ষনের মাধ্যমে এ এলাকায় একটি প্রত্মতাত্তিক জাদুঘর নির্মানের মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে একদিকে রক্ষা হবে এ এলাকার প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য অন্যদিকে সরকারের আসবে পর্যাপ্ত রাজস্ব।

বক্তরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের নিকট বারোবাজারে সরকারী ভাবে একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, বারোবাজারকে পর্যটন নগরী ঘোষনা, প্রত্মতত্ত¡

অধিদপ্তরের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণ, অসমাপ্ত কাজগুলো অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে দখলমুক্ত করা, পুকুর খনন, বারোবাজার গণগ্রন্থগার ভবন নির্মাণ, কর্মচারী নিয়োগ, প্রয়োজনী বইপত্র প্রদানের দাবী জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button