ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

তারা অপ্রতিরোধ্য

#আসিফ ইকবাল কাজল, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের ৬ উপজেলার মধ্যে ৫ টিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে এখন নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন। শৈলকুপা ব্যতিত সব উপজেলায় নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজ করছেন। নারী ইউএনও হিসেবে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলার মাদক, শিক্ষা ও বাল্য বিবাহ বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন নানা সমস্যা সমাধানে এ গ্রাম থেকে ওগ্রামে। সমস্যার তথ্য নিয়ে তার গ্রহনযোগ্য সমাধান করছেন। বাল্যবিয়ের খবর পেলে তা বন্ধ করার জন্য মধ্য রাতেও তারা ছুটে যাচ্ছেন ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত গ্রামে। করছেন সামাজিক বিচার। দাম্পত্য কলহ মেটাতেও নিচ্ছেন শুনানী। এ ভাবেই ঝিনাইদহ সদরসহ কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন না।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাম্মি ইসলাম। ২৮ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ঝিনাইহ সদরের ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন।

কালীগঞ্জে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুবর্ণা রানী সাহা। ৩০ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে যোগান করেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোটচাঁদপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা।

২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ শাশ্বতী শীল মহেশপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে চলতি আগষ্টের প্রথম সপ্তায় যোগদান করেছেন ৩১তম বিসিএস ক্যাডার সৈয়দা নাফিস সুলতানা।

স্বামী, সন্তান ও পরিবার পরিজনসহ নিজের ঘর সামলানোর পাশাপাশি নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই উপজেলা প্রশাসন চালাচ্ছেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসার শাম্মী ইসলাম বলেন, নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। আমরা মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে বেশ ভালই লাগে।

কোটচাঁপুরের ইউএনও নাজনীন সুলতানা বলেন, যে কাজেই হাত দিচ্ছি, সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজ করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, দাফতরিক কাজের বাইরে উপজেলার মানুষের এবং তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে যা করি খুবই ভালো লাগে।

মহেশপুরে ইউএনও শাশ্বতী শীল বলেন, নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বাঁধার সম্মুখীন হইনি।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, ইউএনও হিসেবে আমি নতুন। এখনো সে ভাবে বলার সময় আসেনি। হরিণাকুন্ডুকে গড়তে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button