টপ লিডহরিনাকুন্ডু

ঝিনাইদহের এক গ্রামের ৫শ পরিবারই গরু পালন করে স্বাবলম্বী (ভিডিও সহ)

#ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডেুর কুলবাড়ীয়া গ্রাম গরুর গ্রাম বলে পরিচিতি লাভ করেছে। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ীতেই গরু আছে। প্রতিটি বাড়ীতে ২ থেকে ৮টি পর্যন্ত গরু আছে। তবে গরু মোটাতাজায় তারা কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় না, দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করন করা হয়।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার সড়ক পথে গেলে কুলবাড়িয়া গ্রাম পাওয়া যাবে। ফলসি ইউনিয়নে ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে কুলবাড়িয়া গ্রামের অবস্থান। এ গ্রামে প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। আর বাড়ী আছে ৫শতাধিক। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এলাকার প্রান্তিক চাষি, চাষি, ব্যবসায়ী, পল্লী চিকিৎসক, বেকার যুবক ও মহিলারা কোরবানীকে সামনে রেখে গরু পালন করছে গত কয়ে বৎসর যাবত। তবে এ বৎসর জেলার একমাত্র সর্বাধিক গরু পালন করেছে দাবী তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুলবাড়ীয়া গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে শুধু গরু আর গরু। দেশি-বিদেশী বিভিন্ন জাতের গরু গ্রামটিতে ভরপুর। প্রতিটি বাড়ী পাকা নাহলেও তাদের গরু রাখার গোয়াল পাকা। গরমের মধ্যে নিজেদের ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকলেও গোয়াল ঘরে ২টি গরুর জন্য একটি করে ফ্যান আছে। সারাদিন দেশী জাতের গরু দিনের বেলায় বাশ বাগানে রাখলেও বিদেশী জাতের গরু বাহিরে বের করে না। নারী-পুরুষ সকলে রয়েছে গরুর সেবায় ব্যস্ত। কেউ কাটছে ঘাস, কেউ বিচালি (খড়), আবার কেউবা গরুর গা ধোয়াচ্ছেন। কথা বলার সময় নেই, গরুর পরিরর্চায় ব্যস্ত সবাই।

গ্রামবাসী জানান, এবৎসর শুধুমাত্র কুলবাড়ীয়া গ্রাম থেকে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক অথ্যাৎ ১ হাজার থেকে ১২ শত গরু যাবে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। তাছাড়া জেলার মধ্যে আরো ৩শত গরু বিক্রয় হবে।

কুলবাড়ীয়া মাঠ পাড়া গ্রামের গরু পালনকারী আব্দুল খালেক মন্ডল জানান, তাদের গ্রামে ৫শতটি পরিবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্নজাতের গরু পালন করছে।

ফলসি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, এবার জেলায় এত পরিমান গরু পালন আর কোথাও হয়নি। কুলবাড়ীয়া গ্রামে জেলার সর্বাধিক গরু পালন করা হয়েছে। তাই এই গ্রামকে গরুর গ্রাম হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

ঝিনাইদহ জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ অধিক লাভজনক। কুলবাড়ীয়া গ্রামের কৃষকরা এই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছে। এভাবে প্রতি বছর কোরবানীর গরু পালন করলে কুলবাড়ীয়া গ্রামের প্রতিটি কৃষক আর্থিকভাবে বিরাট সফলতা লাভ করতে সক্ষম হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button