এই ঈদের হেলথ টিপস
#ঝিনাইদহের চোখঃ
কোরবানির ঈদ চারদিকে মাংসের ছড়াছড়ি, সেই সঙ্গে বাড়তি খানাপিনা। এসময় বেশিরভাগ মানুষই গরু ও খাসির মাংস খেয়ে থাকেন বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়ার কারণে বদহজম থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই। তাই বলে কী গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ রাখবেন? মোটেই না। বরং জেনে নিন গরুর মাংস রান্নার কিছু স্বাস্থ্যকর উপায়। এতে আপনার মাংস খাওয়া বেশি হলেও ক্ষতি হবে কম। গরু, খাসি এমন সব ধরণের রেড মিট রান্নার ক্ষেত্রেই এসব টিপস আপনার কাজে আসতে পারে।
১) শুধু মাংস নয়, এর পাশাপাশি কলিজা এবং অন্যান্য অংশগুলোও খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে কলিজা খাওয়া মানা হলে অবশ্যই খাবেন না।
২) মাংস গ্রিল করে, ফ্রাই বা ডিপ ফ্রাই করে খাবেন না। কম আঁচে বেশি সময় ধরে মাংস রান্না করুন। এছাড়া মাংস বেক করতে পারেন বা স্টিম করতে পারেন। এতে মাংসে ক্ষতিকর কিছু উপাদান তৈরি রোধ করা যায়।
৩) মাংস পুড়ে গেলে পোড়া অংশটি কেটে বাদ দিয়ে দিন অবশ্যই।
৪) অলিভ অয়েল, লেবুর রস এবং রসুন দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়।
৫) মাংস বেশি খাওয়া হলে শরীরচর্চার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। ঈদের ছুটির সুযোগে অনেকেই অলসতা করেন। তা করা যাবে না। শরীরচর্চা অব্যাহত রাখুন।
৬) লম্বা সময় ধরে মাংস ফ্রিজে রাখবেন না। নির্দিষ্ট পরিমাণ মাংস দান এবং বিতরণ করার পর নিজের জন্য যেটুকু বাকি থাকে, তা এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিযে রাখতে পারেন, তার বেশি নয়। ফ্রিজে জমিয়ে রাখা মাংস খেলে পেটব্যথা, বদহজম, ডায়ারিয়া, বমি এবং অন্যান্য সমস্যা বাড়তে পারে।
৭) রান্নার আগে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে পারেন মাংস। এতে মাংসে থাকা ফ্যাটি এসিড কমে যায়।
৮) মাংস থেকে চর্বি যতটা সম্ভব কেটে বাদ দিন।
৯) হৃদরোগ, ডায়াবেটিস হেপাটাইটিস, আলসার এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। ঈদের আগেই ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন দৈনিক কতটুকু মাংস নিরাপদে খেতে পারবেন আপনি।