ঝিনাইদহে বিলুপ্ত প্রায় কাক তাড়ুয়া
#মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
বর্তমানে আধুনীক যুগেও কৃষক তার ফসলি জমিতে কাক তাড়ুয়া বা ফানুষ ব্যবহার করেন। প্রাচীন আমল থেকে কৃষক ফসলের ক্ষেতে কাক তাড়ুয়া ব্যবহার করলে অধুনীকতার ছোয়ায় আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, প্রাচীন চাষাবাদে কাক তাড়ুয়া ব্যবহার করা হত। আর পাকিস্তান আমলে এই বঙ্গে আধুনিকতায় এন্ডিন নামে এক প্রকার বিষ ব্যবহার শুরু করা হয়। পরবর্তিতে বানিজ্যিক ভাবে বিষ ব্যবসা শুরু করার পর কাক তাড়ুয়ার ব্যবহার কমতে থাকে। যা আজ বিলুপ্তের পথে। যা আজো কোন কোন কৃষকতার জমিতে কাক তাড়ুয়া ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে প্রবীণ কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, সাধারনত খড়, বাতিল হাড়ি ও ব্যবহৃত শার্ট, প্যান্ট দিয়ে মানুষের আকৃতি তৈরি করে, হাতে লাঠি দিয়ে জমিতে দাঁড়ান করে রাখা হয়। এটার কি নাম তা জানিনা। তবে বাবা-দাদা ফসলের জমিতে ব্যবহার করতে দেখেছি। তিনি আরো বলেন, এটা ব্যবহার করলে পশু পাখি ধারনা করে জমিতে লোকজন দাড়িয়ে বা বসে আছে। ভয়ে ফসলে আক্রমন করেনা।
কোটচাঁদপুরের পেঁয়ারা চাষি ওয়াজেদ আলি বলেন, এটার উপকার সম্পর্কে জানা নেই। তবে পেঁয়ারা বাগানের দিকে তাকালে প্রথমে নজর আসবে মানুষ আকৃতি তৈরি দিকে। এতে নজর লাগবে না তাই ব্যবহার করছেন বলে তিনি জানান।
মহেশপুরের সাকোরখালের কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন, তিনি জমিতে চাঁরা গজানোর পর এটা তৈরি করে রেখেছেন। এখানে পাখি মনে করবে লাঠি হাতে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। ফলে ক্ষেত পাখি, বালাই আসবেনা ক্ষেত নষ্ট হবেনা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ আহমেদ বলেন, এটাকে কাক তাড়ুয়া বলা হয়। কেউ কেউ ফানুষও বলে থাকে। ক্ষেত পোকা, গরু ছাগল, মানুষের নজর এড়াতে এটা কৃষকরা ব্যবহার করে থাকেন। তবে এটা কতটা বিজ্ঞান সম্মতা তার বিস্তারিত জানা নেই বলে তিনি জানান।