ক্যাম্পাসনির্বাচন ও রাজনীতি

ঝিনাইদহের ৬ উপজেলার ৫টিতেই নেই ছাত্রলীগের কমিটি

ঝিনাইদহের চোখ-

কমিটি বিহীন চলছে ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের রাজনীতি। জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় ২ মাস। জেলার ৬টি সংগঠনিক উপজেলার মধ্যে ৫টি তেই নেই কমিটি। জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করায় বর্তমানে কমিটি বিহীন রাজনীতি চলছে ছাত্রলীগে।

জানাযায়, দুই মাস আগে জেলার পদ প্রত্যাশিদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করা হলেও আজও কমিটি ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। এদিকে জেলার হরিণাকুণ্ডু ব্যাতিত অন্য সকল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ও স্থগিত রয়েছে। অন্যদিকে, গত কয়েকদিন আগে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন পরীক্ষার হল থেকে ফেসবুকে লাইভ করে সারাদেশে আলোচিত হয়েছে। এই ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এই উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। এদিকে জেলায় ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছে।

ঝিনাইহের সরকারি কেসি কলেজের কমিটি ১০ বছরের ও ঝিনাইদহ কলেজের কমিটি ৪ বছরের পুরাতন। এই কমিটির নেতাদের ছাত্রত্ব শেষ হলেও নতুন করে সম্মেলন হয়নি।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রানা হামিদ জানান, আমাদের কমিটি প্রায় ২ মাস আগে বিলুপ্ত হয়েছে। এখনতো আর সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। কিন্তু এখন শহরে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে রাজপথে কার্যক্রম শুরু করা দরকার। উপজেলা কমিটি গুলোর সম্মেলন করতে হবে,কলেজ কমিটি গুলোর সম্মেলন করে সংগঠন গতিশীল করতে হবে।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহমুদ জন বলেন, উপজেলা গুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় উপমহাদেশের বৃহত্তম এই ছাত্র সংগঠন ঝিনাইদহে অনেকটা নিষ্কৃয় হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্রুত কমিটি দিয়ে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন সামনে। ছাত্রলীগ নিষ্কৃয় থাকলে জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিই বেকায়দায় থাকবে।

তিনি আরো বলেন, ২ মাস আগে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা ঝিনাইদহে এসে পদ প্রত্যাশিদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে গেলেন। কিন্তু আজও কমিটি কেন হচ্ছে না সেটা আমার বোধগম্য নয়। এতে করে ছাত্রলীগের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সিভি জমা দেওয়া একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আগামীতে কে নেতা হবে? এমন প্রশ্ন সবার মনেই। কাজেই ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে কারও সাথে এসে ট্রেন্টে বসতে পারছে না। শেষে সেই নেতা পদ না পেলে তারাও বঞ্চিত হবে। সব মিলিয়ে সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগের রাজনীতি। নেতা যেই হোক আমরা সবাই এক সাথে কাজ করবো। কিন্তু কমিটি না হওয়ায় সবাই ঘোরের মধ্যে রয়েছে।

সাবেক ছাত্রনেতারা দাবি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ ছাত্রলীগে এখন চরম সাংগঠনিক শূন্যতা চলছে। খুব দ্রুত ছাত্রলীগের সকল,উপজেলা,কলেজ,পৌর,ইউনিয়ন কমিটিগুলো করে সাংগঠনিকভাবে জোরদার করতে হবে। কমিটি না থাকলে সংগঠনের ভিতরে কলহ বাড়বে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button