টপ লিডশৈলকুপা

শৈলকুপার গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির বেহালদশা

#টিপু সুলতান, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান খালে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ ক্রমেই হয়ে উঠছে মরণফাঁদ। উপজেলার কাতলাগাড়ী বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ খালের সেতুর গাইডওয়াল দীর্ঘদিন ভেঙে পড়লেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, এ সেতুটিতে এর আগেও গাইডওয়াল মেরামত করা হয়েছিল। বহু পুরাতন এ সেতুটি অপসারণ করে শিঘ্রই নতুন সেতু স্থাপানের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হয়তো আগামী অর্থবছরে মধ্যে কাজ সম্পন্ন হতে পারে। এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী মেরামতের কোন প্রকল্প দেওয়া হয়নি।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়ন শৈলকুপা ও কাতলাগাড়ী হয়ে কুষ্টিয়া মাগুরাসহ গড়াই নদীর ওপারে খোকসা পাংশার সাথে তিন জেলার সাথে সীমান্ত এলাকা হিসেবে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়ক কাতলাগাড়ী বাজার। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বাজার কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে কাতলাগাড়ী ডিগ্রি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাতলাগাড়ী নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ২টি বিশাল মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেশ কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন, একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যাংক-বাজারসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান। বৃহৎ বাজারের চারিপাশে আবাসিক এলাকা। অত্যন্ত জনবহুল এলাকা বেষ্টিত কাতলাগাড়ী বাজারের প্রধান এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। তাছাড়া ছোট বড় বিভিন্ন রকম সহস্রাধিক যানবাহন পারাপার হয়। দুপাশের গাইডওয়াল না থাকায় প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। কাতলাগাড়ী পুরাতন বাজারে সপ্তাহে ২টি হাট বসে, দূর দূরান্তের ব্যবসায়ী ও চাষীদের মালামাল পার করতে যথেষ্ট ঝুঁকি নিতে হয়। বয়:বৃদ্ধ ও কচিকাচা স্কুলশিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের সীমা নেই এখানে।

কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, প্রতিদিন শত শত বাচ্চারা প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়েই দীর্ঘদিন ব্রীজ পার হচ্ছে। কেউ দূর্ঘটনার শিকার হলে মালামাল নিয়ে অন্তত ৩০ ফুট নিচের খালে পড়তে হয়। হাত পা ভাঙা এমনকি জীবনহানীর সম্ভাবনা কম নেই। সেতুর গাইডওয়াল দ্রুত মেরামতে দাবি জানিয়েছে একাধিক বাজার ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, পূন:নির্মিত দূর্বল গাইডওয়াল ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েছে। পানি উন্নয়নবোর্ডের তত্ত্বাবধানের এর আগে একাধিকবার এসেতু মেরামত হয়েছে, বর্তমানে ঝুঁকি নিয়েই মানুষ চলাচল করছে।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সরোয়ার জাহান সুজন জানান, কাতলাগাড়ী বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মানের প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button