ঝিনাইদহ টিটিসি থেকে সাড়ে ১৮ হাজার নারী-পুরুষের বিদেশ গমণ
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে মাত্র ২০ মাসে ১৮ হাজার ৪০৩ জন নারী পুরুষ বিদেশে গেছে।
দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়ে তারা ভাল চাকরীও পেয়েছেন। এর মধ্যে ২৬২০ জন রয়েছে মহিলা। ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ রুস্তম আলি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহ শহরে ক্যাডেট কলেজের সামনে ৩ একর জমির উপর অত্যাধুনিক ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে রয়েছে আধুনিক অবকাঠামো শিক্ষা সহায়ক
দারিদ্র বিমোচন, স্কিল ডেভলপমেন্ট সহ দেশের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা দূরীকরণ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, দ্রুত শিল্পায়নের সহায়ক দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ বৃদ্ধি প্রভৃতি উদ্দেশ্য সামনে রেখে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিচালনা করা হচ্ছে।
তারই ধারবাহিকতায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর নিয়ন্ত্রণাধীন “ঝিনাইদহ শহরে এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ২০০৬ সনে স্থাপিত হয়েছে” এবং ২০০৭ সন হতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিদেশ গমনেচ্ছু পুরুষ/মহিলা কর্মীদের প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন ট্রেইনিং কোর্সে প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সকল প্রশিক্ষণার্থী বিদেশে গমন করেন। বিদেশ গমনেচ্ছু মহিলা কর্মীদের জন্য ১ মাস মেয়াদী হাউজ কিপিং কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করে (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সাটিফিকেট প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সকল প্রশিক্ষণার্থী বিদেশে গমন করেন।
৬ মাস মেয়াদী বেসিক কম্পিউটার কোর্সে প্রশিক্ষণ শেষে বিএমইটি এর মহাপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীগণ সার্টিফিকেট গ্রহণ করে দেশের সরকারী/বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুযোগ পান। অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত (Skill for Employment & Investment Program (SEIP) প্রকল্পের অধীনে (০৪) চার মাস মেয়াদী বিভিন্ন ট্রেডে সর্ম্পূন সরকারী খরচে প্রশিক্ষণ ও ভাতা প্রদান করে বিএমইটি এর মহাপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং আত্মকর্মসংস্থানসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে/ ইন্ডাস্ট্রিতে চাকুরীর ব্যবস্থা করা হয়।
অভিজ্ঞ জাপানী ভাষা প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে বিএমইটি ও জাপান কর্তৃক গঠিত কমিটি দ্বারা নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণার্থীগন সর্ম্পূন সরকারী খরচে জাপান যাওয়া সুযোগ পায়। কারিগরি বোর্ডের সার্টিফিকেট গ্রহন করে দেশের সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পান। এছাড়া ও অত্র প্রতিষ্ঠানটি বিগত ২০১৮ সনের জাতীয় উন্নয়ন মেলায় ঝিনাইদহ জেলার ১২০ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।