কালীগঞ্জ

খুলনায় ব্যবসায়ী হত্যা ও ট্রাক ছিনতাই মামলায় ঝিনাইদহের কবির গ্রেফতার

#ঝিনাইদহের চোখঃ

নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি পশ্চিম পাড়ার চিংড়িখালিতে চুয়াডাঙ্গা থেকে খুলনায় আসা বাঁশ বোঝাই ট্রাক ছিনতাই করে বাঁশ ব্যবসায়ী শমসের আলী মন্ডল (৫৬) কে হত্যা এবং ছেলে রোকন মন্ডল (৩০) কে আহত করার মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আহত রোকন ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত ৬ জনকে আদালতে হাজির করা হলে মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে হ্যাপি (৩২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। তার দেয়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দী মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম রেকর্ড করেছেন। রফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের অলোকদিয়া এলাকার মৃত রজব আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃত অপর ৫ আসামি হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হাতিকাটা এলাকার মৃত মতলেব মন্ডলের ছেলে মোঃ ইয়াসিন (৩৪), অলোকদিয়া এলাকার মৃত মাহাবুব উদ্দিনের ছেলে মোঃ রাকিব উদ্দিন রিয়াদ (২৪), ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার আড়পাড়া গ্রামের মোঃ আজিজ আকনের ছেলে মোঃ কবির হোসেন আকন (২৭), একই গ্রামের মোঃ ইউসুফ মন্ডলের ছেলে মোঃ রেজাউল মন্ডল (৩৯) ও খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার কেসমত ফুলতলা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ মোড়লের ছেলে মাওলানা মোঃ ইউনুস আলী (৬০)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে লবণচরা থানাধীন বাইপাস সড়কের টেক্সটাইল মিলের সামনে থেকে ছিনতাই হওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। পরে বটিয়াঘাটা থেকে বাঁশ ব্যবসায়ী মাওলানা মোঃ ইউনুস আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রাক ড্রাইভার মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে হ্যাপিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অন্যান্যদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের বাঁশ ব্যবসায়ী শমসের আলী মন্ডল ও তার ছেলে রোকন মন্ডল ট্রাকে বাঁশ বোঝাই করে ড্রাইভার মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে হ্যাপিকে নিয়ে বাগেরহাটের রামপাল থানার ফয়লা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

ড্রাইভার হ্যাপি চুয়াডাঙ্গা রেল ক্রসিং থেকে ৪/৫ জনকে গাড়িতে তুলে নেয়। পরের দিন সকাল ৮টার দিকে খানজাহান আলী থানার চিংড়িখালী এলাকার বাইপাস সড়কের পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পার্শ্ববর্তী স্থানে আরও এক ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সেপ্টেম্বর নিহত শমসের আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে হ্যাপি ও ইউনুস আলীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে খানজাহান আলী থানায় ৩৯৬/৪১২ ধারায় মামলা দায়ের করেন যার নং-২।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button